আমফানের প্রভাবে বিপর্যস্ত গোটা বাংলার পরিস্থিতি৷ আপাতত ঝড় ও বৃষ্টির প্রভাব থামেছে ঠিকই, কিন্তু ধ্বংসের ছবি চারিদিকে৷ বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরের অবস্থা ভয়াবহ৷ চারিদিকে ভেঙেছে গাছ, ছিঁড়েছে বিদ্যুতের তার৷ এরই মধ্যে বিদ্যুত সংযোগ বন্ধ হয়েছে বহু এলাকায় ৷ নেই মোবাইল পরিষেবা ৷ আমফানে বিপর্যস্ত দক্ষিণবঙ্গ সহ কলকাতা ৷ মোবাইল ব্যবহার করতে সমস্যা হচ্ছে গ্রাহকদের ৷ একইভাবে সমস্যা তৈরি হয়েছে ইন্টারনেট ব্যবহারেও৷ কার্যত যোগাযোগ বিচ্ছন্ন হয়েছে৷ কোথায় কী অবস্থা অনেকেই তা জানাতেও পারছেন না৷ বৃহস্পতিবারও যে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে না, সেটাই জানা গিয়েছে ৷
বুধবার থেকে অনেক এলাকায় বন্ধ করা হয়েছে ইলেকট্রিক কনেকশন৷ তাই মোবাইলের চার্জ দেওয়াও সম্ভব হয়নি ৷ এখনও পর্যন্ত অনেকের ফোন বন্ধ হয়ে গিয়েছে ৷ এছাড়াও পরিষেবাও ঠিক মতো আসছে না বহু গ্রাহকের৷ তবে শুধু ফোনের যোগাযোগ নয়, অনেক এলাকায় জল সরবরাহও বন্ধ৷ সাধারণ মানুষের জীবন একেবারে জেরবার৷ একে করোনার দাপটে নাজেহাল মানুষ, তার ওপর এই ধ্বংসলীলায় যেন ধুকতে শুরু করেছে বাংলা ৷
মুখ্যমন্ত্রীর গলাতেও হতাশা ধরা পড়েছে৷ বুধবার রাতে সাংবাদিকের তিনি নিজেই জানান যে বাংলার অবস্থা ভয়াবহ৷ তিনি বলেন যে দক্ষিণবঙ্গ বিশেষ করে দুই ২৪ পরগনার খুবই করুণ অবস্থা৷ পূর্বাভাস অনুযায়ী অনেকটাই ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন, তবে এতটা যে মারাত্মক আকার নেবে এই সাইক্লোন তা কোনও ভাবেই বোঝা যায়নি৷
পূর্বাভাসের চেয়েও ভয়াবহ রূপে বাংলায় হাজির হয়েছিল আমফান ৷ প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ২ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর ও কলকাতার কিছু অংশ ৷ সাইক্লোন আমফানের জেরে দক্ষিণবঙ্গে ঝড়ের বলি ৭ জন ৷ মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক বৈঠকেই জানিয়ে দিয়েছিলেন প্রাথমিক সূত্র থেকে অন্তত ১০ -১২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছে ৷ তার মধ্যে এখনও ৭ জনে মৃত্যুর নিশ্চিত খবর মিলেছে ৷
Be the first to comment