আমফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে রাজ্যে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে হেলিকপ্টারে পরিদর্শন করবেন তিনি।
শুক্রবার সকালেই কলকাতা বিমানবন্দরে পৌঁছে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১১ টা নাগাদ বিমান থেকে নামেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিন তাঁকে বিমাবন্দরে অভ্যর্থনা জানাতে উপস্থিত ছিলে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও। সেখানে সামান্য আলাপচারিতা সারেন দু’জনে। এরপরই তাঁরা বসিরহাটের উদ্দেশ্যে রওনা হচ্ছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছেন, প্রায় ঘণ্টাখানেক আকাশপথে ঘুরে পরিস্থিতি দেখবেন তাঁরা। একটি রুট ইতিমধ্যেই তৈরি করা হয়েছে। হিঙ্গলগঞ্জ, ডায়মন্ড হারবার, কুলতলি সহ একাধিক জায়গা এদিন পরিদর্শন করবেন তাঁঁরা।
ইতিমধ্যেই বাংলার অবস্থা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। শুক্রবার একদিকে যখন রাক্যে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেন রাষ্ট্রপতি।
এদিন তিনি ফোনে বলেন, ‘বাংলার অবস্থা দেখে চোখে জল আসছে।’
ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। ওডিশাতেও পড়েছে আমফানের প্রভাব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে অন্তত ৮০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শুধু কলকাতাতেই ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে আমফানের ক্ষয়ক্ষতি জানতে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁকে ফোনে যত দ্রুত সম্ভব আর্থিক সাহায্য করার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি বললেন, ৫০০ দিন পরে পেলে লাভ নেই। টাকা এখনই দরকার। করোনা ভাইরাসের দাপট এখনও সামলে উঠতে পারেনি বাংলা। তার উপর আমফান-এর তাণ্ডবে কার্যত বিধ্বস্ত রাজ্য।
বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে যায় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। বৃহস্পতিবার সকাল হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ খবর নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে টুইটারে তিনি লেখেন, “আমরা আমপানের বিষয়টি ভাল ভাবে নজর রাখছি। ঝড়ের তাণ্ডবে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলেছি। প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।”
Be the first to comment