বাংলার অবস্থা দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দও। শুক্রবার একদিকে যখন রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করলেন রাষ্ট্রপতি। এদিন তিনি ফোনে বলেন, ‘বাংলার অবস্থা দেখে চোখে জল আসছে।’
ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছেন ওডিশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ক। ওডিশাতেও পড়েছে আমফানের প্রভাব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ সম্ভব হয়নি বলে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
এখনও পর্যন্ত রাজ্যে অন্তত ৮০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। শুধু কলকাতাতেই ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দমদম বিমানবন্দর থেকে হেলিকপ্টারে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি দেখবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর ১১.২০ মিনিটে বসিরহাটে প্রধানমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠক করার কথা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকার কথা রয়েছে। সেই প্রশাসনিক বৈঠক সেরেই কলকাতায় ফেরার কথা প্রধানমন্ত্রীর।
সেখান থেকে ওডিশার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন প্রধানমন্ত্রী। সুপার সাইক্লোন আমফানে বাংলার পাশাপাশি ওডিশাতেও আছড়ে পড়েছে। সেখানে এতটা তীব্রতা ছিল না। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে সে রাজ্যেও। এমনটাই জানা যাচ্ছে। তাই বাংলার অবস্থা দেখেই ওডিশাতে চলে যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে আমফানের ক্ষয়ক্ষতি জানতে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তাঁকে ফোনে যত দ্রুত সম্ভব আর্থিক সাহায্য করার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তিনি বললেন, ৫০০ দিন পরে পেলে লাভ নেই। টাকা এখনই দরকার। করোনা ভাইরাসের দাপট এখনও সামলে উঠতে পারেনি বাংলা। তার উপর আমফান-এর তাণ্ডবে কার্যত বিধ্বস্ত রাজ্য।
বুধবার ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে যায় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি-সহ দক্ষিবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলা। বৃহস্পতিবার সকাল হতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে ক্ষয়ক্ষতির খোঁজ খবর নিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পরে টুইটারে তিনি লেখেন, “আমরা আমপানের বিষয়টি ভাল ভাবে নজর রাখছি। ঝড়ের তাণ্ডবে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তা নিয়ে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর কথা বলেছি। প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছি।”
Be the first to comment