সর্বনাশ হয়ে গেল। ধ্বংস করে দিয়ে গেল। আমফান লন্ডভন্ড করে যাওয়ার পর এমন প্রতিক্রিয়াই শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। শুক্রবার আকাশপথে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কপ্টারে আমফানের ধ্বংসলীলা পরিদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে ম্যাপ হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে গেলেন, “আগামিকাল আমি আবার নিজে দক্ষিণ ২৪ পরগণার পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, বাসন্তী, নামখানা, কাকদ্বীপ ঘুরে দেখব। তারপর কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠক করব।” সোমবার ঈদের পর আরও কয়েকটি জেলায় যাবেন মুখ্যমন্ত্রী, কারণ আমফানের তাণ্ডবে বেশ কয়েকটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যেই মন্ত্রীদের একটা দল তৈরি করে দিয়েছেন বলেও এদিন বিমানবন্দরে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁরা বিভিন্ন জেলার দায়িত্বে থাকবেন।
উদ্ধারকার্যে সবচেয়ে সমস্যা হচ্ছে যোগাযোগের এবং বিদ্যুত সংযোগের। আকাশপথে পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে দেখা গেছে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি সন্দেশখালির। কেন্দ্রের থেকে সব রকমের সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় বিদ্যুত দফতর এবং টেলি কমিউনিকেশন দফতরের সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মোবাইল পরিষেবা চালু করার জন্য তিনি অনুরোধ করেছেন। করোনাভাইরাসের মাঝে আমফান।
রীতিমতো শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে গোটা রাজ্য। সে কথা মনে করিয়ে মমতা বলেন, “এমন ঘুর্ণিঝড় আগে কখনও দেখিনি, আমি সেদিন যখন নবান্নে কন্ট্রোল রুমে ছিলাম, আরও অনেকেই ছিলেন ওখানে….আমি তো নিজের ঘরেই যেতে পারছিলাম না! এত কাঁপছিল, সঙ্গে কী শব্দ ! একটানা আটঘণ্টা চলল তাণ্ডব। আসল চ্যালেঞ্জটা হল উদ্ধারকাজ আর পুনর্বাসন দেওয়া। সব কিছু ঠিক মতো করে করা মানুষের জন্য।”
Be the first to comment