আমফানে আক্রান্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে আজ কাকদ্বীপে প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার আগে শনিবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন এবং ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেওয়ার উদ্দেশ্যে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং ও বাসন্তী যাচ্ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তবে বারুইপুর যাওয়ার মুখে গড়িয়া ঢালাই ব্রিজ এলাকার কাছে তাঁর কনভয় আকটে দেয় পুলিশ। লকডাউন চলাকালীন এক জেলা থেকে অন্য জেলায় যাতায়াত অনুমতি প্রয়োজন, এই কারণেই গাড়ি আটকানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
যদিও রাজ্য বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবেই তাঁর গাড়ি আটকানো হয়েছে। দরকারে হেঁটে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। জানা গেছে, বারুইপুরে রাজ্য বিজেপি অফিস দেখার পর ক্যানিং-বাসন্তী এলাকায় ত্রাণ বিলি ও সাধারণের সঙ্গে কথা বলার কর্মসূচি ছিল রাজ্য বিজেপি সভাপতির। সেইমতো কনভয় নিয়ে বেরিয়েছিলেন সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তবে গড়িয়ার কাছেই তাঁর গাড়ি আটকে দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে, ঘটনাস্থল ছেড়ে সরতে নারাজ বিজেপি নেতা। যার জেরে পাটুলি পর্যন্ত যানজট পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ। এদিকে রাজ্য সভাপতির গাড়ি আটকানোর খবরে ঘটনাস্থলে ভিড় বাড়তে থাকে বিজেপি সমর্থকদের। যদিও এলাকায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেখছে রাজ্য বিজেপি। আজ দুপুরে মুরলীধর সেন লেনে সাংবাদিক বৈঠকও ডেকেছেন রাজ্য বিজেপির নেতারা।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাজ্যে এসে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা আকাশপথে পরিদর্শনের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশাসনের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যদিও ওই দিনই রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনার টাকা সদ্বব্যবহার করা হলে ঝড়ে এত বাড়ি-ঘর নষ্ট হত না। কেন্দ্রীয় সাহায্যের টাকা সরাসরি দুর্গত মানুষের অ্যাকাউন্টে দেওয়া উচিত।’
Be the first to comment