সামাজিক প্রকল্পের টাকা সরাসরি উপভোক্তার কাছে যাবে। কোনও পঞ্চায়েত বা কারও হাতে টাকা দেওয়া হবে না। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপে মহকুমাশাসকের দফতরে আয়োজিত বৈঠকে প্রশাসনিক আধিকারিদের এই নির্দেশই দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, ‘জয় বাংলা জয় জহর’ প্রকল্পের এক পয়সা যেন নয় ছয় না হয়। তাহলে আমি ছেড়ে কথা বলবো না। সরাসরি প্রাপকদের হাতে টাকা দেওয়া হবে, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পঞ্চায়েত সমিতির কাউকে নয়। টাকা গরীব মানুষের হাতে দিতে হবে। প্রশাসন ও স্থানীয় জন প্রতিনিধিদের তাঁর কড়া নির্দেশ– এই সময় কোনও রকম অপচয় করা যাবে না। যে কাজটা আগে করা দরকার সেটাই এখন করতে হবে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা আরও বলেন, ” এমনিতেই তিন মাস কোনও রোজগার নেই সরকারের। এক টাকাও পাইনি করোনার জন্য। ফলে বড় কোন প্রজেক্ট হাতে নেওয়া যাবে না। ফলে খুব সমস্যা তৈরি হয়েছে। এদিকে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন বিভিন্ন জেলার ৬ কোটি মানুষ।
শুধু দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন অঞ্চলে ৭৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ১০ লক্ষের বেশি বাড়ি ভেঙেছে। ডায়মন্ড হারবারেই ভেঙেছে দেড় লক্ষ বাড়ি। এই জেলার ৫৬ কিলোমিটার নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছে। বর্ষার আগে এই বাঁধ সারানো না গেলে আরও বড় সমস্যা হবে। এটা জাতীয় বিপর্যয়ের থেকেও বড় ক্ষতি। তাই এখন পুনর্গঠনের উপরেই সবচেয়ে বেশি জোর দিতে হবে। পাশাপাশি মমতা আরও বলেন, পঞ্চায়েত থেকে সেচ, কৃষি সব দফতর মিলে যৌথভাবে সমীক্ষা চালাবে।
তাঁর দাবি, রাজ্যে মোট ৬ কোটি ৭৩ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। এটা জাতীয় বিপর্যয়ের থেকেও বড় ক্ষতি। কেন্দ্র থেকে এক হাজার কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। এক লাখ কোটি টাকা লাগবে। যতটা পারব করব।”
Be the first to comment