আমফানের পর গত ৭২ ঘণ্টা ধরেই বিদ্যুৎহীন কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা। গাছ পড়ে বহু রাস্তা এখনও অবরুদ্ধ। বিদ্যুৎ না-আসায় পাম্প চলছে না। চারিদিকে জলের হাহাকার। শনিবারও অব্যবস্থার প্রতিবাদে বেহালা, যাদবপুর, গড়িয়া, বাঁশদ্রোণী, ইএম বাইপাস-সহ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে পথ অবরোধ করেন মানুষ। ব্যারাকপুর, কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়েতে অবরোধ তুলতে পুলিশকে মৃদু লাঠিচার্জ করতে হয়।
পরিস্থিতি নিয়ে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘এটা করোনার থেকে বড় বিপর্যয়। অধৈর্য হবেন না। এইসময়ে কারও কথা শুনে বিক্ষোভ করবেন না প্লিজ। লকডাউনের জন্য লোক অনেক কম। একটু সময় লাগবে।’ আর রবিবার দুপুরে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফে ট্যুইট করে জানানো হল, ‘CESC সরকারকে জানিয়েছে, তারা যাদবপুর, সেলিমপুর, মুকুন্দপুর, সার্ভে পার্ক, পাটুলি, রিজেন্ট এস্টেট, এনএসসি বোস রোড, বেহালা চৌরাস্তা, জেমস লং সরণী, শীলপাড়া, লেকটাউন, যশোর রোড, নাগেরবাজার, রাসবিহারি কানেক্টর, বিবি চ্যাটার্জী স্ট্রিটে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দিতে পেরেছে।’
শুধু কলকাতাই অবশ্য নয়, স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদের কর্মীরাও রাতভরের চেষ্টায় গড়িয়া, বাঁশদ্রোণী, কেষ্টপুর, বাগুইহাটি, তেঘড়িয়া, সল্টলেক, নিউটাউন, বারাসাত, তমলুক, এগরা, কাঁথি, কৃষ্ণনগর, শান্তিপুর, রানাঘাট, গয়েশপুর ও কল্যাণীর মতো বহু জায়গায় পুনরায় বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দিয়েছে।
এরই মধ্যে ওয়ার্ড কোঅর্ডিনেটরের নেতৃত্বে সিইএসসি অফিস ঘেরাও হয় শ্রী কলোনিতে। এখনও বহু এলাকায় বিদ্যুৎ নেই। এলাকায় বিক্ষোভ চলছে। স্বাভাবিক অবস্থা ফেরানোর দাবিতে শহরের বহু জায়গায় এখনও বিক্ষোভে সামিল মানুষ।
বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন কোম্পানির গাছ কাটার কর্মী রয়েছে। সিইএসসি-র যদিও তা নেই। আমার সঙ্গে সিইএসসি-র কথা হয়েছে। ওরা বলছে যথেষ্ট সংখ্যায় ওদের কর্মী নেই। আমাদের কাছে মেরামতি কাজে ১০০ গ্যাং বা সারাই করার দল রয়েছে। আমরা ২০টি গ্যাং দিয়েছি।’
Be the first to comment