আমফানে বিধ্বস্ত গোটা বাংলা। পরিস্থিতি এখনও আয়ত্তের বাইরে। কলকাতা তো বটেই। দক্ষিণ ২৪ পরগনার অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। নিজের এলাকা নিয়ে চিন্তিত বসিরহাটের সাংসদ। বৃহস্পতিবার সকালে তাই বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের আমফান বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলেন সাংসদ নুসরত জাহান। এলাকার বিডিও অফিসে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি।
প্রশাসনিক কর্তাদের কাছ থেকে আমফান পরবর্তী সমস্ত খবর নেন নুসরত। হিঙ্গলগঞ্জ বটতলার বিএসএফ ঘাটে যান তিনি। লঞ্চে করে পরিবর্শন করেন গোটা এলাকা। ক্ষতিগ্রস্ত উত্তর ২৪ পরগনা সুন্দরবনs চারটি ব্লকে বিদ্যুৎ, খাদ্য ও পানীয় জল সরবরাহের জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় যাতে কাজ হয়, সেকথা বলেন তিনি। জেলা পূর্ত দপ্তরের কর্মদক্ষ নারায়ণ গোস্বামী, হিঙ্গলগঞ্জ বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, শিক্ষা কর্মদক্ষ ফিরোজ কামাল গাজির সঙ্গে বিভিন্ন নদী বাঁধ পরিদর্শন ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জান রায়মঙ্গল কালিন্দী সাহেব খালি ইছামতি নদী বাঁধ পরিদর্শন করেন নুসরত।
পাশাপাশি দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকে ১৬টি ত্রাণ শিবিরে প্রায় ছ’হাজার মানুষের পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবারের বন্দোবস্ত করার কথা বলেন তিনি। একদিকে পানীয় জল অন্যদিকে ওষধের ব্যবস্থা করা হয়েছে কিনা, খবর নেন। হিঙ্গলগঞ্জের বোলতলা ৪৭ নম্বর বিএসএফ ক্যাম্পের জওয়ান সঙ্গে কথা বলেন। এরপর হিঙ্গলগঞ্জ মিনাখা হাসনাবাদ বিডিও অফিসে সেচ দপ্তর সঙ্গে দুর্যোগ মোকাবেলা নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন তিনি। কীভাবে পরিস্থিতি দ্রত স্বাভাবিক করা যায়, তা নিয়েও হয় আলোচনা। এই সময় রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে মানুষকে এগিয়ে আসার আবেদন জানান তিনি।
অন্যদিকে বসিরহাট কেন্দ্রের আমফান বিধ্বস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, রূপম ইসলাম ও মৌসুমী দাশগুপ্ত। এলাকার মানুষেক দুর্দিনে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁরা। চাল, ডাল, বিস্কুট-সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী তাঁরা তুলে দেন আমফান বিধ্বস্ত মানুষের হাতে। নুসরত ফেসবুকে তাঁদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। লিখেছেন, “অনেক অনেক ধন্যবাদ রূপম ইসলাম, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, মৌসুমী দাশগুপ্ত এবং তাঁদের বন্ধুদের বসিরহাট কেন্দ্রের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ওনাদের সাহায্য করার জন্য।
ধন্যবাদ ওই সকল প্রবাসী বঙ্গবন্ধুদের যাঁরা এই ত্রাণের জন্য আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েছেন। আমি চিরঋণী রইলাম।” তিনি আরও লিখেছেন, হিঙ্গলগঞ্জ, সন্দেশখালি, হাড়োয়া ও মিনাখার মানুষরা আমফানের তাণ্ডবে প্রবল ক্ষতির মুখে পড়েছেন। তাঁদের সাহায্য করতে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
Be the first to comment