লকডাউন 5.0! কী কী খুলতে পারে আর কোনগুলিই বা নিষিদ্ধ? দেখে নিন তালিকা

Spread the love

চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হতে আর বাকি মাত্র ১ দিন। মনে করা হচ্ছে, লকডাউনের মেয়াদ অন্তত আরও ১৫ দিন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেবে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে ১১টি শহরের উপর বিশেষ নজর দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

দেশের করোনা আক্রান্তের ৭০ শতাংশই রয়েছে যে শহরগুলিতে সে গুলি হল – দিল্লি, মুম্বই, কলকাতা, চেন্নাই, অহমদাবাদ, পুনে, থানে, সুরাট, জয়পুর ও ইন্দোর।

৩১ মে-র পর পঞ্চম লকডাউন ঘোষণা করা হলে সেই সময় সরকার কোন বিষয়গুলিতে ছাড়পত্র দেবে এবং কোন বিষয়গুলি নিষিদ্ধই থাকতে পারে, তা দেখে নেওয়া যাক একনজরে…

১ জুন থেকে অনুমতি মিলতে পারে যে যে বিষয়ে

ব্যাংকিং ও এটিএম পরিষেবা
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ক্যুরিয়ার পরিষেবা
সরকারি অফিস
ন্যূনতম কর্মী নিয়ে বেসরকারি অফিস
ই-কমার্স কোম্পানি
ইলেকট্রিশিয়ান, কলের মিস্ত্রি, ছুতোর মিস্ত্রি
খবরের কাগজের হকার
পরিচারক
বেসরকারি গাড়ি – চার চাকার গাড়ির পেছনের আসনে থাকবে একজন
শুধুমাত্র চালক-সহ মোটরবাইক
নির্মাণ কাজ
যাত্রীবাহী ট্রেন, অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা
বাস, মেট্রো, ট্যাক্সি
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শাখা, পাটশিল্প

ধর্মীয় স্থান (কোনও গণজমায়েত নিষিদ্ধ)

যে গুলি বন্ধ থাকতে পারে

সিনেমা হল
শপিং মল
জিম
স্যুইমিং পুল
বিনোদন পার্ক
অ্যাসেম্বলি হল
সামাজিক জমায়েত
শিক্ষামূলক, প্রশিক্ষণ ও কোচিং প্রতিষ্ঠান

লকডাউনের মেয়াদ আরও দু’সপ্তাহ বাড়াতে প্রস্তুত রাজ্য সরকার। বিশেষত কন্টেইনমেন্ট জোন থেকে লকডাউন প্রত্যাহারের পক্ষে নয় নবান্ন। কেন্দ্রীয় ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবার সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্সে এমনই জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন, রাজ্য মনে করছে এখনই লকডাউন তুলে নিয়ে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। কন্টেইনমেন্ট জোন বাদে বাকি এলাকায় ধাপে ধাপে ও নিয়ন্ত্রিত ভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড চালু রাখার প্রস্তাবও দিয়েছেন তিনি। এ ছাড়াও এখনই মেট্রো ও লোকাল ট্রেন চালানোর ক্ষেত্রেও রাজ্যের তরফে আপত্তির কথা জানিয়েছেন রাজীব সিনহা।

দেশের চতুর্থ দফার লকডাউনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৩১ মে। তার পর লকডাউনের মেয়াদ ফের বাড়বে কি না, মেয়াদ বৃদ্ধি করতে হলে তা কী কী শর্তসাপেক্ষে করা প্রয়োজন, তা নিয়ে রাজ্যগুলির মতামত জানতে এদিন মুখ্যসচিবদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করেন কেন্দ্রের ক্যাবিনেট সচিব রাজীব গৌবা। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। রাজ্যের কোন কোন এলাকায় করোনার প্রভাব বেশি, কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে, তা মুখ্যমন্ত্রীদের কাছে জানতে চেয়েছেন শাহ। লকডাউন প্রত্যাহার করা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের পরামর্শও চেয়েছেন তিনি।

কেন্দ্র এই তথ্যও পেশ করেছে যে, সারা দেশের মধ্যে তেরোটি শহরে করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব সব থেকে বেশি। এই তালিকায় জোড়া শহর হিসেবে উঠে এসেছে কলকাতা-হাওড়া। বাকি শহরগুলো হল মুম্বই, চেন্নাই, আমেদাবাদ, হায়দরাবাদ, যোধপুর, পুনে, ঠানে, দিল্লি, ইন্দোর, জয়পুর, তিরুভাল্লুর এবং চেঙ্গালপাট্টু। দেশের ৭০ শতাংশ করোনা আক্রান্ত এই ১৩টি শহরেই। বৈঠকে উম্পুন পরিস্থিতিতে রাজ্যের কঠিন অবস্থার কথা তুলে ধরেন রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। এই জেরবার অবস্থার মধ্যেই ট্রেনে আসা একসঙ্গে কয়েক হাজার পরিযায়ী শ্রমিকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে বাড়ি ফেরাতে প্রবল সমস্যায় পড়ছে রাজ্য।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*