শনিবার, ৩০ মে দ্বিতীয় নরেন্দ্র মোদী সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি হচ্ছে। এদিন নাম না করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে কটাক্ষ তীব্র করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, “ছ’দশকের শূন্যস্থান ছ’বছরে পূরণ হয়েছে।” তার পাল্টা বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল কংগ্রেসও। সর্বভারতীয় কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা বলেছেন, “এই সরকার মানুষের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।”
কেন্দ্রের আর্থিক নীতির সমালোচনা করে সুরজেওয়ালা বলেছেন, “নরেন্দ্র মোদীর সরকার এমন একটা আর্থিক নীতি নিয়ে চলছে, যেখানে নির্দিষ্ট কিছু বড়লোক সুবিধে পাচ্ছে আর গরিবের অবস্থা আরও খারাপ হচ্ছে।”
নরেন্দ্র মোদী জমানায় দেশে সম্প্রীতি ও সৌভ্রাতৃত্ব ধুলোয় মিশেছে বলে অভিযোগ করেন সুরজেওয়ালা। তাঁর কথায়, “মানুষের আশু সমস্যাগুলো থেকে দৃষ্টি ঘোরাতেই কেন্দ্রীয় সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সাম্প্রদায়িক গোলমাল বেড়ে গিয়েছে।”
জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তথা বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা তুলে নেওয়া, জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখকে পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা কিংবা তিন তালাক প্রথা বাতিল ও নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন পাশের মতো একাধিক ঘটনা এই এক বছরে ঘটেছে। তা ছাড়া ঐতিহাসিক রাম জন্মভূমি মামলারও নিষ্পত্তি হয়েছে দ্বিতীয় মোদী সরকারের প্রথম বছরে। এদিন প্রধানমন্ত্রীও দেশবাসীর উদ্দেশে যে চিঠি লিখেছেন তাতেও এইসব প্রসঙ্গের অবতারণা রয়েছে।
তবে শুধু সুরজেওয়ালা নন। মোদী সরকারের সমালোচনা করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কে সি বেণুগোপালও। তিনি বলেন, এই ছ’বছর হতাশা, বিপর্যয় এবং নারকীয় যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে চলেছে দেশবাসী।” করোনাভাইরাসের সংকটে সরকারের ব্যর্থতার প্রসঙ্গও তোলেন বেণুগোপাল। তাঁর কথায়’ “যতবারই বিরোধীরা দায়িত্বশীল হয়ে সরকারকে পরামর্শ দিতে গিয়েছে, ততবারই সরকার ভেবেছে সমালোচনা করা হচ্ছে। ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে। পরিকল্পনাবিহীন লকডাউন করে দেশের কোটি কোটি মানুষকে সংকটের মুখে দাঁড় করিয়েছে সরকার।”
Be the first to comment