আরপিএফের তথ্যেই গত ৯ মে ২৭ মে-র মধ্যে শ্রমিক স্পেশ্যালে সফররত অন্তত ৮০ জন পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর কথা জানানো হয়েছে। এরপরই প্রশ্ন উঠেছে, সুরাহা নাকি অকালমৃত্যু? কোন দিকে ঝুঁকে শ্রমিক স্পেশ্যালের বাস্তব? এরই মধ্যে আবার শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে মৃত্যু হল বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকের। গুজরাটের সুরাট থেকে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে মালদা আসার পথে মৃত্যু হল পরিযায়ী শ্রমিক বুধিয়া পাহাড়ির। মালদা আসার আগেই মৃত্যু হয় তাঁর। ট্রেনটি মালদা পৌঁছলে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে পাঠানো হয়।
মৃত ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের দাবি, প্রায় ৩০ বছর ধরে সুরাটে একটি হোটেলে কাজ করতেন বুধিয়া পাহাড়ি। তবে, অনেকদিন ধরেই টিবি রোগে ভুগছিলেন তিনি। মাঝেমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে আসার সময়ও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। কিন্তু ট্রেনে প্রাথমিক চিকিৎসার বন্দোবস্তটুকুও ছিল না বলে অভিযোগ। রামপুরহাটের কাছাকাছি এসে তাঁর মৃত্যু হয় ট্রেনেই।
এখন পর্যন্ত যতজনের মৃত্যু হয়েছে শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে, তাঁদের বয়স ৪ থেকে ৮৫ বছরের মধ্যে। কয়েক জনের ক্ষেত্রে আনুষঙ্গিক অসুস্থতা বা দুর্ঘটনাকে মৃত্যুর কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে। আগের কয়েক দিনে যে ন’জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের বেশিরভাগই দীর্ঘ দিন ধরে কোনও না কোনও রোগে ভুগছিলেন বলে দাবি করে রেল। তাই তদন্ত রিপোর্ট আসার আগে রেলকে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী করা ন্যায্য নয় বলেই দাবি রেলওয়ের।
যদিও ট্রেনে শ্রমিকদের মৃত্যু নিয়ে কোনও ব্যাখ্যাই দেননি চেয়ারম্যান। তবে, জানা গিয়েছে মৃত্যুর ঘটনাগুলির মধ্যে ১৮টি নর্থ-ইস্ট জোনের, নর্থ-সেন্ট্রাল জোনে মারা যান ১৯ জন, ইস্ট-কোস্টের ক্ষেত্রে ওই সংখ্যা ১৩। বেশিরভাগ শ্রমিক স্পেশ্যালই উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের বলে খবর। তবে ১ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত কোনও তথ্য নেই।
Be the first to comment