আমেরিকায় কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের খুনের প্রতিবাদে গড়ে ওঠা আন্দোলন চূড়ান্ত হিংসাত্মক হয়ে উঠছে। ভাঙচুর, মারামারি চলছিল আগে থেকেই। পোড়ানো হয়েছিল গির্জাও। এবার বিক্ষোভকারীরা বেছে নিলেন মহাত্মা গান্ধীকে। অহিংস নয়, আন্দোলনের রূপরেখা সহিংস, এই বার্তা দিতেই ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাসের সামনে মহত্মা গান্ধীর মূর্তি ভাঙলেন বিক্ষোভকারীরা। ঘটনার কথা স্বীকার করে দুঃখ প্রকাশ করেছে মার্কিন প্রশাসন। দ্রুত মূর্তি সারিয়ে ফেলার আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন পুলিশ।
গত ২৫ মে থেকে উত্তাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। নেপথ্যে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের হত্যা। অনেকেই বলছেন ১৯৬৯ সালে মার্টিন লুথার কিং-এর মৃত্যুর পর বিরাট অশান্তি হয়েছিল আমেরিকায়। পরবর্তী কয়েক দশকে এত বড়ো বিক্ষোভ দেখেনি আমেরিকা।
বিশ্বজুড়়ে এখন ভাইরাল শ্বেতাঙ্গ পুলিশ ডেরেক শভিনের পায়ের চাপে জর্জের মৃত্যুর ঘটনার সেই ছবি। ময়নাতদন্তে শ্বাসরোধ করে খুন করার ঘটনা পরিষ্কার হওয়ায় ঝড়ের বেগে ছড়াতে শুরু করেছে আন্দোলন। ১৩ টি বড় মার্কিন শহরে এখনও জারি জরুরি অবস্থা। ইতিমধ্যে গ্রেফতার হয়েছেন পাঁচ হাজার প্রতিবাদী। তবে আন্দোলন দমানো যায়নি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইতিপূর্বে বিক্ষোভকারীদের গায়ে হিংস্র কুকুর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছেন। সেনা নামানোর হুমকিও দিয়েছেন। কিন্তু ফল হয়েছে উল্টো।
Be the first to comment