শর্ত সাপেক্ষে ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও বেলুড় মঠ। ট্রায়াল হিসেবে ৮ই জুন ও ১০ই জুন খোলা হবে মন্দির। ভেতরে প্রাথমিকভাবে ঢুকতে পারবেন ৬০ জন ভক্ত। এঁদের আমন্ত্রণ জানানো হবে। যদি এই পদ্ধতি কার্যকর হয়, তবেই সর্বসাধারণের জন্য দক্ষিণেশ্বর মন্দির খুলে দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, জুনের ১৫ তারিখ খুলে দেওয়া হবে কালীঘাট মন্দিরও। রামকৃষ্ণ মিশন ও বেলুড় মঠও সর্বসাধারণের জন্য জুনের ১৫ তারিখ থেকে খুলে দিচ্ছে নিজেদের দরজা। জানা গিয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ও সেবকরা পিপিই কিট করে পুজো করবেন। ওই দুইদিন সকালে আড়াই ঘন্টা ও সন্ধেবেলা আড়াই ঘন্টা খোলা থাকবে মন্দির। ভক্তদের প্রত্যেককে মাস্ক পরতে হবে বাধ্যতামূলকভাবে। হাত ধুয়ে ঢুকতে হবে মন্দিরে। তার জন্য বিশেষ টানেলের ব্যবস্থা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ।
মন্দিরে থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে। যদি কোনও ভক্ত মাস্ক না পরে আসেন, তবে তাঁর প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হবে। যাঁদের শরীরের তাপমাত্রা নির্ধারিত তাপমাত্রার মধ্যে থাকবে, তাঁরাই প্রবেশের অনুমতি পাবেন। মন্দিরের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই বিষয়ে নজরদারি চালাবেন সেবকরা।
দক্ষিণেশ্বর মন্দির ট্রাস্টের মুখপাত্র কুশল চৌধুরী জানান, সকাল সাতটায় মন্দির খুলে দেওয়া হবে। আগের মত সকাল ছটা থেকে ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে না। আড়াই ঘন্টা খুলে ফের বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দির। কারণ সেবকরা পিপিই কিটে থাকবেন। তাঁদের বিশ্রামের জন্যই এই সিদ্ধান্ত। তবে রামকৃষ্ণদেবের ঘর বা ছোট মন্দির এখনই খুলে দেওয়া হচ্ছে না বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে কালীঘাট মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন মন্দিরের ভিতরে জায়গা কম থাকায় বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। মোট ছটি প্রবেশ পথ বানানো হচ্ছে এই মন্দিরে। থাকছে স্যানিটাইজড টানেল। আগামী ১০ দিনের মধ্যে সব ব্যবস্থা করা হয়ে গেলে ১৫ই জুন মন্দির খোলা হবে। আপাতত ভিড় সামলাতে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
উল্লেখ্য পয়লা জুন থেকে রাজ্যে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তারপরও ১ জুন থেকে মন্দির না খোলার সিদ্ধান্ত নেয় বেলুড় মঠ, দক্ষিণেশ্বর ও তারকেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষ। ৩১ মে চতুর্থ দফার লকডাউন শেষ হওয়ার পরের দিন থেকে রাজ্যে মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরদ্বার খোলায় বাধা থাকবে না বলে জানিয়ে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
Be the first to comment