চলছে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক। উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের পাশাপাশি রয়েছেন সাংবাদিকরাও। এমন সময়ই বারবার বেজে উঠছে ফোন। বিরক্ত হয়ে প্রথমে কেটে দিলেন। কিন্তু, একবার বা দু’বার নয়, মোট ২২ বার মিসড কল দেখে মেজাজ হারালেন। বিষয়টি খতিয়ে দেখার সোজা নির্দেশ গেল পুলিশ কমিশনারের কাছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ব্যক্তিগত নম্বরে অচেনা দুটি নম্বর থেকে ২২টি মিসড কল দেখে দৃশ্যত এভাবেই বিরক্ত হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার বিকেলে এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল নবান্ন।
বুধবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের মাঝেই দুটি অচেনা নম্বর থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ব্যক্তিগত ফোন নম্বরে ২২টি মিসড কল আসে। বিকেল ৪টে থেকে ৫টা’র মধ্যে এই মিসড কলগুলি এসেছিল। গোটা ঘটনায় বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী শেষে সবার সামনেই পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে ‘বিষয়টা দেখতে’ বলেন। ‘অনুজ আমাকে একটা হেল্প করতে পারো। ২২টা কল এসেছে। সব অচেনা। দ্যাখো কারা করছে!’ এরপরই নম্বরগুলির ছবি তুলে সংশ্লিষ্ট বিভাগে দ্রুত পাঠিয়ে দেন পুলিশ কমিশনারও।
এমন সময়েই বিষয়টি হালকা করতে সরস মন্তব্য করেন মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা। বলেন, ‘ম্যাডাম আপনি খুবই পপুলার। তাই বারবার ফোন আসছে।’ যা শুনে মুখ্যমন্ত্রীও হেসে ওঠেন।
মুখ্যমন্ত্রী এই নিয়ে এরপর কিছু না বললেও কলকাতা পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা জানান, ‘আমরা বিষয়টা খতিয়ে দেখছি। তবে তদন্তের খাতিরে এখনই কিছু বলতে পারব না।’ সূত্রের খবর, যেহেতু বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত, তাই বিশেষ টিম গঠন করা হয়েছে গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। ফোন আসা নম্বরগুলি যে যে নামে রেজিস্টার করা, তাঁরা মুখ্যমন্ত্রীর পরিচিত কেউ নন।
আরও জানা গেছে, প্রথম যে নম্বর থেকে ফোন এসেছিল, মুখ্যমন্ত্রী সেটি ব্লক করে দেন। এরপরও অন্যান্য একাধিক নম্বর থেকে অচেনা ফোন আসে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একাধিকবার বাড়ি ও এলাকা পরিবর্তনের পরামর্শের পরও হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাড়ি পালটাতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক জীবনের শুরু থেকেই ওই বাড়িতেই রয়েছেন তিনি।
Be the first to comment