ধর্মীয় স্থানে বন্ধ প্রসাদ, পবিত্র জল অথবা গানের অনুষ্ঠান, জারি নতুন নিয়ম

Spread the love

লকডাউন ৪ পর্যন্ত যাওয়ার পরে আর লকডাউন বাড়ানোর ক্ষমতা দেখাতে পারেনি কেন্দ্র। শুরু হয়ে গিয়েছে শিথিলতা। চলছে আনলক ১। এই ধাপে মন্দির সহ অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ভক্তদের জন্য খোলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আনলক হতেই লাফিয়ে লাফিয়ে দেশে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এমন পরিস্থিতিতে ধর্মীয় স্থানের জন্য নতুন নিয়ম জারি করল কেন্দ্র।

বলা যেতে পারে এই নতুন নিয়মে ধর্মীয় স্থানগুলিতে যাওয়া মানুষ আগের অভিজ্ঞতার সঙ্গে নিজেদের বর্তমান অভিজ্ঞতা কোনও ভাবেই মেলাতে পারবে না। কেন্দ্রের ইস্যু করে বৃহস্পতিবারের সেফটি গাইডলাইনে বলা হয়েছে, মন্দিরে ভিড় তো করা যাবেই না, সঙ্গে প্রসাদ দেওয়া অথবা নেওয়া নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পবিত্র জল বা চরণামৃত ও সিঁদুরের টিকার ওপরেও বাধা নিষেধ আনা হয়েছে। পাশপাশি বলয়া হয়েছে, কোনও রকম ভক্তদের দ্বারা কোনও রকম সঙ্গীত অনুষ্ঠান করা চলবে না ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে, শুধুমাত্র রেকর্ড করা মিউজিক বা সঙ্গীত চলতে পারে।

দক্ষিণের শবরীমালা থেকে উত্তরে বৈষ্ণোদেবী দেশের সমস্ত ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ২৫ মার্চ দেশ লকডাউন ঘোষণা থেকেই জনসাধারণের জন্য তাদের দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। প্রায় দীর্ঘ দুমাস লকডাউনে বন্ধ থাকার পর, এই মাস থেকে বেশ কিছু ধর্মীয় স্থান খোলা শুরু হয়েছে। অনেক ধর্মীয় স্থান আবার নতুন গাইডলাইন সংক্রান্ত খোঁজ নেওয়া শুরু করেছে। কেউ আবার প্রাঙ্গন খোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

কেন্দ্রের বৃহস্পতিবার জারি করা নির্দেশিকায় মাস্ক ও সোশ্যাল ডিস্ট্যানিং কঠোর ভাবে মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য পৃথক প্রবেশ ও বেরনোর গেট করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ভক্তদের ৬ ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে। পাশপাশি বলা হয়েছে, যে কোনও ধর্মীয় স্থানে প্রবশের আগে হাত পা সাবান ও জল দিয়ে ধুয়ে নেওয়া উচিত। সাধারণ ক্ষেত্রে বসার জন্য পেতে দেওইয়া মাদুরের বদলে ভক্তরা নিজেরা বাড়ি থেকে আওন নিয়ে আসতে পারেন।

পাশপাশি মূর্তি, প্রতিমা, বা পবিত্র বইগুলিকে স্পর্শ করা চলবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বাধা নিষেধ আরোপ করা হয়েছে, প্রসাদ বিতরণ ও বিত্র জল ছিটিয়ে দেওয়ার মতো কাজেও।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*