হেলিকপ্টারে পাথরপ্রতিমা পৌঁছলো দু’টি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কিছুক্ষণ আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব অঞ্জু শর্মার নেতৃত্বে কলকাতা থেকে রওনা দিয়েছিল তাঁরা। আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত দুই ২৪ পরগনার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দু’ভাগে এলাকা পরিদর্শন করবেন তাঁরা। সন্দেশখালি, হাসনাবাদ পরিদর্শন করবে দু’টি দল ও বাকি দু’টি দল সুন্দরবন পরিদর্শন করবে। সবশেষে পাথরপ্রতিমা ও ধামাখালিতে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে প্রতিনিধি দল।
আমফান বিধ্বস্ত রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে গতকাল এয়ার ইন্ডিয়ার বিশেষ বিমানে রাজ্যে এসেছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। অঞ্জু শর্মার নেতৃত্বে এই দলে রয়েছেন কৃষিমন্ত্রকের ডিরেক্টর নরেন্দ্র কুমার, ফিসারি বিভাগের অ্যাসিসটেন্ট কমিশনার আর পি ডুবে, এক্সপেনডিচার বিভাগের ডিরেক্টর এস সি মিনা, জলশক্তিমন্ত্রকের ইঞ্জিনিয়র সিদ্ধার্থ মিত্র, বিদ্যুৎমন্ত্রকের ডিরেক্টর রিশিকা সরন, সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রকের ইঞ্জিনিয়র সমীরণ সাহা।
সন্দেশখালিতে নামার পর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল সন্দেশখালির ধামাখালির একটি হোটেলে বৈঠক করে । বৈঠকে ছিলেন উত্তর 24 পরগনা জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী, বসিরহাট মহকুমা শাসক বিবেক ভাসনে, বসিরহাট জেলা পুলিশ আধিকারিক কংকরপ্রসাদ বাড়ুই, বসিরহাট মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দেবব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়, সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতসহ অন্যান্যরা।
২০ মে রাজ্যে আছড়ে পরে ঘূর্ণিঝড় আমফান। তছনছ হয়ে যায় রাজ্যের একাধিক অংশ। ক্ষতিগ্রস্ত কয়েক হাজার মানুষ। গৃহহীন হয়ে পড়েছেন এমন মানুষের সংখ্যা কম। এরপর রাজ্যের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঝড়ের পরেরদিন অর্থাৎ ২১ তারিখ রাজ্যে আসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তিনি আকাশপথে এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে রাজ্যের জন্য হাজার কোটি টাকা সাহায্যের ঘোষণা করেন।
এদিকে, ঝড়ে লন্ডভন্ড পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে রাজ্যে নামে সেনা। তাঁদের তৎপরতায় কিছুটা হলেও স্বাভাবিক হয়েছে পরিস্থিতি। আজ ঝড়ের ১৫ দিনের মাথায় পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে তাঁরা রিপোর্ট জমা দেবেন।
Be the first to comment