সোমবার থেকেই খুলে গিয়েছে অধিকাংশ অফিস ৷ খুলছে শপিং মল, রেস্তোরাঁ, হোটেল ৷ ফলে সকাল থেকেই রাস্তায় মানুষের ঢল ৷ এই পরিস্থিতিতে অন্যান্য দিনের থেকে আজ বেসরকারি বাসের সংখ্যা বেড়েছে ৷ কিন্তু সেটা যাত্রীদের তুনলায় অনেক কম ৷
সোমবার সকালে বাগুইআটি মোড়ে দেখা গেল,বাসের জন্য যাত্রীদের দীর্ঘ অপেক্ষা ৷ বাস আসলেই সামাজিক দূরত্ব-বিধি না মেনে একসঙ্গে বাসে ওঠার চেষ্টা ৷ উল্টোডাঙা মোড়ে অফিস যাত্রীদের ভিড় ৷ পর্যাপ্ত বাস নেই বলে যাত্রীদের অভিযোগ ৷ যে কয়েকটি বেসরকারি বাস চলছে তাতে খুব ভিড় রয়েছে ৷ ডানলপ মোড়ে বাসের জন্য প্রায় হাফ কিলোমিটার লম্বা লাইন৷ কয়েকটি রুটে বেসরকারি বাস চললেও, যাত্রী ভোগান্তি অব্যাহত ৷
সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে প্রায় ২ হাজার বাস রাস্তায় নামবে বলে রবিবার জানিয়েছিল বেসরকারি বাস সংগঠন ৷ আজ পথে থাকার কথা,১৫০০ সরকারি বাস, বেসরকারি বাস মিনিবাস মিলিয়ে ২০০০-২৫০০৷ অটো ১০ হাজার,ট্যাক্সি ৪ হাজার,অ্যাপ ক্যাব ৫ হাজার ৷ করোনা পরিস্তিতির আগে রাস্তায় অন্তত ৮,৫০০ বাস মিনিবাস রাস্তায় নামত ৷
জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটের সাধারণ সম্পাদক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, সোমবার অন্তত ৩০-৩৫ শতাংশ বাস যাতে রাস্তায় নামানো যায়,তার চেষ্টা করছি ৷ রাস্তায় বাস কম কেন? এই প্রসঙ্গে বাসমালিকদের যুক্তি, এত মাস বাস বন্ধ থাকায় ব্যাটারি-সহ অনেক যন্ত্রাংশ বিকল হয়েছে। বাস নামানোর আগে সেগুলি সারাই করতে হচ্ছে। ফলে ধাপে ধাপে বাসের সংখ্যা বাড়বে ৷
বেসরকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধি সহ একগুচ্ছ দাবি খতিয়ে দেখতে শনিবার তিন সদস্যের বিশেষ কমিটি গঠন করেছে রাজ্য সরকার। পরিবহণ দফতরের তিনজন অফিসারকে নিয়ে এই কমিটি তৈরি করা হয়েছে।
বাসমালিকদের আগেই জানিয়েছিলেন, লকডাউন পর্বে তাঁদের ব্যাঙ্কে ঋণের মাসিক কিস্তি দিতে হয়েছে। কর ছাড়ের ব্যাপারে সরকার আশ্বস্ত করেনি। উল্টে এত মাস বাস বন্ধ থাকায় ব্যাটারি-সহ অনেক যন্ত্রাংশ বিকল হয়েছে। বাস নামানোর আগে সেগুলি সারাই করতে খরচ হয়েছে। তার উপরে নিত্য লোকসানের বহন করা মুশকিল।
Be the first to comment