দু’মাসের লকডাউন পেরিয়ে সোমবার থেকে খুলেছে মন্দির-মসজিদ থেকে সকল ধর্মীয়স্থান, ঠিক এদিন সকালেই গোরক্ষনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ।
সোমবার অনেক সকালে মন্দির খোলার কিছুক্ষণের মধ্যেই গোরক্ষনাথ মঠে পৌঁছে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও রবিবার সরকারি হাসপাতাল কিভাবে চলছে তা পর্যবেক্ষণে গোরক্ষপুর গিয়েছিলেন তিনি। সোমবার সকাল থেকেই একাধিক মন্দিরে দেখা গিয়েছে ভক্তদের ঢল।
এছাড়াও রবিবার সরকারি হাসপাতাল কিভাবে চলছে তা পর্যবেক্ষণে গোরক্ষপুর গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সোমবার সকাল থেকেই উত্তরপ্রদেশের একাধিক মন্দিরে দেখা গিয়েছে ভক্তদের ঢল। সম্বলের চামুন্ডা মন্দিরে বিশাল মানুষের সমাগম দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে ইদিগা মসজিদেও একই জনস্মাগ্ম চোখে পড়েছে।
এর আগে, উত্তরপ্রদেশ সরকার ভক্তদের উদ্দেশ্যে গাইডলাইন জারি করেছে। এমনকি বৃহস্পতিবার এই ইস্যুতে একাধিক নতুন নিয়মাবলী জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
ধর্মস্থান খোলার প্রথম ও প্রধান শর্ত রাখা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব পালন। এই বিষয়ের দিকে কড়া নজর রাখতে হবে কর্তৃপক্ষকে বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশ কনটেনমেন্ট জোনে কোনও ধর্মস্থান খোলা যাবে না। সোমবার থেকে শুধু বাকি এলাকার মন্দির-মসজিদ খুলে দেওয়া হবে বলে খবর। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফেও জারি করা হয়েছে একাধিক নিয়মাবলী। জানানো হয়েছে ৬৫ বছরের ওপরের ব্যক্তি, গর্ভবতী, ১০ বছরের নীচে শিশুদের বাড়িতে থাকতে হবে। কোনওভাবেই ধর্মস্থানে প্রবেশ করতে পারবে না।
নিয়মে স্পষ্ট বলা হয়েছে, প্রবেশ পথ ও বেরোনোর রাস্তা আলাদা করতে হবে। দ্বিতীয়ত, মূর্তি, পবিত্র বই বা স্ট্যাচু ছোঁয়া যাবে না। সমবেতভাবে প্রার্থনা আপাতত বন্ধ রাখতে হবে এবং প্রসাদ বিতরণ বন্ধ থাকবে, পবিত্র জল ছেটানো বা শান্তি জল পাওয়ার রীতি বন্ধ রাখতে হবে। দেবতাকে কোনও কিছু অর্পণ করা যাবে না। এছাড়াও বন্ধ থাকবে লঙ্গর খানা।
নিয়ম মেনে ৮ই জুন সকাল থেকে খুলে গিয়েছে দেশের বিভিন্নপ্রান্তের মন্দির-মসজিদ-গীর্জা-গুরুদ্বার। তবে সব কিছু আর আগের মত নেই, অনুমতি নেই ভিনরাজ্যের মানুষদের।
Be the first to comment