আনলক ১.০, লকডাউন শিথিল হতেই প্রায় আড়াই মাস পর সোমবার ৮ জুন থেকেই খুলে গিয়েছে রাজ্য সরকার সহ সমস্ত বেসরকারি অফিসও ৷ অফিসে হাজিরার তাড়নায় সামাজিক দূরত্ব ভুলে ভিড় বাসেই আসছেন অফিস যাত্রীরা ৷ এতে সংক্রমণের হার আরও বেড়ে যাবে ভেবে উদ্বেগে বিশেষজ্ঞরা ৷ তবে সবদিক বিবেচনা করে একদিন যেতে না যেতেই করোনার বেড়ে চলার হার দেখে হাজিরা নিয়ে নয়া ফরমান রাজ্য সরকারের ৷
জানা যাচ্ছে সর্দি-কাশি-জ্বরের কোনওরকম উপসর্গ থাকলে অফিস আসতে হবে না, এমনই নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন ৷ একইসঙ্গে কন্টেইনমেন্ট জোনে বাড়ি এমন কর্মীদেরও বাড়ি থেকেই কাজের করার নির্দেশ ৷ এছাড়া প্রতিটি দফতরে একইদিনে উপস্থিত থাকা কর্মীর সংখ্যা বেঁধে দেওয়া ছাড়াও বসার ব্যবস্থা নিয়েও বিশেষ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় ৷
নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে,
১) সম্পূর্ণ সুস্থ এবং করোনার কোনওরকম লক্ষণ নেই এমন কর্মীরাই অফিসে আসবেন৷ কোনও কর্মীর সামান্য জ্বর , সর্দি বা কাশি হলে তাঁকে আর অফিস আসতে হবে না ৷ প্রত্যেক কর্মী একদিন অন্তর অফিস আসবেন ৷
২) কন্টেইনমেন্ট জোনের বাসিন্দা যেসব সরকারি কর্মী তাদের এলাকা যতদিন না পর্যন্ত বিপদমুক্ত বা সি ক্যাটাগরিতে অন্তর্ভু্ক্ত না হচ্ছে তাদের ওয়ার্ক ফর্ম হোমই করতে হবে।
৩) প্রতি সপ্তাহে সরকারি কর্মীদের রোস্টার বানানো হবে ৷১০ জনের বেশি কর্মী একই জায়গায় থাকতে পারবেন না ৷ একই টেবিলে বলা কর্মীদের মধ্যে অন্তত ২ মিটার দূরত্ব রাখতে হবে ৷ এক টেবিলে ২ মিটার দূরত্ব রেখে ১০ জন কর্মীর বসার ব্যবস্থা না করা গেলে কর্মী সংখ্যা আরও কমিয়ে দেওয়ার নির্দেশ ৷ সেক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ কর্মী উপস্থিত থাকতে হবে এমন নয় ৷
৪) ডেপুটি সেক্রেটারি পদের চেয়েও উঁচুতে কাজ করেন যে সব সরকারি কর্মী এবং যাদের নিজস্ব কেবিন অথবা আলাদা বসার জায়গা আছে তাদের প্রতিদিন নির্দিষ্ট সাধারণ সময়েই অফিস করতে হবে ৷
৫) রোস্টার ও অন্য কারণে যে সব অফিসার ও কর্মীরা বাড়ি থেকে কাজ করবেন, তাদের ই-অফিসের মাধ্যমে কাজ করতে হবে ৷ কারোর বাড়িতে এই সুবিধা না থাকলে সরকারি আইটি কর্মীদের সাহায্যে সেই ব্যবস্থা করতে হবে ৷
৬) অফিসে মাস্ক বাধ্যতামূলক ৷ বার বার সাবানে হাত ধোওয়া ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করতে হবে ৷ কেউ মাস্ক না পড়লে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা করা হবে ৷
৭) সরকারি অফিসে ভিজিটারদের বসার ব্যবস্থাও দূরত্ববিধি মেনে করতে হবে ৷
৮) অফিসে কর্মীদের ব্যবহারের জিনিস ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, মাউস, মনিটর, কি-বোর্ড, এসি রিমোট ইত্যাদি নিয়ম মেনে নিজেদেরই স্যানিটাইজ করতে হবে ৷
৯) সবাই স্পর্শ করে এমন জায়গা ইলেকট্রিক সুইচ, দরজার হাতল, লিফটের সুইচ অন্তত ১৫ দিনে একবার স্যানিটাইজ করতেই হবে ৷
১০) মুখোমুখি বসে মিটিং বা আলোচনা যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে ৷ ইন্টারকম, ফোন বা ভিডিও কনফারেন্সে সারতে হবে কাজ ৷
১১) লিফটে একসঙ্গে তিনজনের বেশি ব্যক্তি উঠতে পারবেন না ৷
Be the first to comment