সোনার বাংলা তৈরির নামে সংস্কৃতি ভাঙার চেষ্টা করছে বিজেপি। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠক করে গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুললেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আমফান, করোনার জোড়া ধাক্কা সামলাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রাণপণ লড়াই করে যাচ্ছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ভার্চুয়াল সমাবেশ ছিল বিজেপির। সেই সমাবেশে অমিত শাহ সোনার বাংলা গড়ার ডাক দেন। অমিত শাহের সেই দাবিকে কটাক্ষ করলেন তৃণমূলের মহাসচিব। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, যিনি সোনার বাংলা গড়ার ডাক দিচ্ছেন তাঁর চোখের সামনেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা হয়। তাঁরই দলের একজন প্রচারক বললেন বিদ্যাসাগর সহজপাঠ লিখেছেন। যাঁরা সোনার বাংলা গড়তে চায়, তাঁরা বাংলার সংস্কৃতিকে ভেঙে দিতে চাইছে। নতুন সংস্কৃতি গড়ার চেষ্টা করছে। সোনার বাংলা কি বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা দিয়ে শুরু হবে? এরপরই তিনি বলেন, সংস্কৃতি নিয়ে তাঁদের কথা বলার দরকার নেই। বাংলার মানুষ দুর্দিন আসতে দেবেন না।
করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর পাশাপাশি কীভাবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে সচল রাখা যায় তা নিয়ে ভাবনায় গোটা দেশ। তার উপর আবার বাংলায় দাপট দেখিয়েছে আমফান। একদিকে করোনা আবার অন্যদিকে আমফানের জোড়া দাপটে বাংলার ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনের সাংবাদিক বৈঠকে ক্ষতির খতিয়ানও তুলে ধরেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার কঠিন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন বলেও জানান তিনি।
এদিন বিরোধীদের কটাক্ষ করে পার্থবাবু বলেন, করোনা, আমফানের ক্ষতি সামাল বড় চ্যালেঞ্জ। মানুষকে বাঁচানোই এখন প্রাথমিক লক্ষ্য। এই সময় রাজনীতি না করে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর। এর আগেও বারবার বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বিরোধীদের রাজনীতি না করার আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। পার্থবাবুর কথায় আমাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ মানুষকে বাঁচানো। আমফানে বিপুল ক্ষতি। যথা সর্বস্ব দিয়ে দুর্গতদের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে।
পাশাপাশি তিনি এদিন ঘোষণা করেন, মিড ডে মিলের সঙ্গে এ বার মাস্ক ও সাবান দেওয়া হবে। এমন বিপর্যয় কোনও সরকারের সামনে আসেনি। তাই রাজনীতি করা উচিত নয় বলে জানান তিনি।
এছাড়াও এদিনের বৈঠকে কেন্দ্রের সমালোচনা করতে দেখা যায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সমীর চক্রবর্তীকে। তৃণমূল বিধায়ক তথা বনমন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অমিতজি বলেছেন, যদি বিজেপি সরকার এক মিনিটে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ চালু করার কথা বলে, আমি বলবো, গোটা রাজ্য তাহলে বিনাপয়সার চিকিৎসা বন্ধ হয়ে যাবে। বলা হচ্ছে ওনারা তালিকা পাঠালে কৃষক সন্মান দেওয়া হবে। আমরা তো আগেই দিয়েছি। ৬ হাজার টাকা যে বলছে এখন অবধি ভারত যা পেয়েছে বাংলায় আমরা তার বেশি দিয়েছি।
এদিন কী বললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়?
শুনুন!
Be the first to comment