করোনা সংক্রমণের মধ্যে রাজ্যসভার ভোট ঘিরে হঠাৎ আন্দোলিত জাতীয় রাজনীতি। দুই বিধায়কের ইস্তফার পর গুজরাতের বাকি কংগ্রেস বিধায়কদের ‘সুরক্ষিত’ রাখতে যখন রাজস্থানের রিসর্টে রাখা হয়েছে ঠিক তখনই তোলপাড় মরূরাজ্য। টাকার জোরে সরকার ফেলার অভিযোগ তুলল রাজস্থান কংগ্রেস। রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে দলের তরফে।
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সংবাদমাধ্যমে অভিযোগ করেছেন, বিধায়ক প্রতি ২৫-৩০ কোটি টাকার টোপ এবং পদের লোভ দেখানো হচ্ছে। বিধায়কদের নিরাপদ আশ্রয়ে রাখতে দিল্লি-জয়পুর হাইওয়ের ধারে শিবভিলা নামক একটি রিসর্টে সরানো হল রাজস্থানের কংগ্রেস বিধায়কদের।
যদিও কংগ্রেসের তরফে নির্দিষ্ট কোনও রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়নি। তবে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না নিশানা কোন দিকে। রাজস্থান বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা কংগ্রেস নেতা মহেশ যোশী রাজ্যের দুর্নীতি দমন শাখাকে চিঠি দিয়ে লিখেছেন, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটকের মতো রাজস্থানেও বিধায়ক কেনার চেষ্টা হচ্ছে। গণতান্ত্রিক পথে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে।
তিনি লিখেছেন, আমাদের বিধায়ক এবং যে নির্দল বিধায়করা আমাদের সমর্থন করেছেন তাঁদের অর্থ দিয়ে কেনার চেষ্টা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় তোলপাড় পড়ে গিয়েছে দিল্লির রাজনীতিতে। বুধবার মাঝ রাতে দলীয় বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করতে শিবভিলা রিসর্টে যান কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। দফায় দফায় বৈঠক করেন তিনি।
রাজস্থানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০৭। ভোটে ১০১ জন জিতেছিলেন। ভোটের পর মায়াবতীর দল বিএসপির টিকিটে জেতা ৬ জন কংগ্রেসে যোগ দেন। অন্যদিকে বিজেপির রয়েছে ৭২ বিধায়ক। সেইসঙ্গে আরও ৬ বিধায়ক রয়েছে তাঁদের দিকে।
আগামী ১৯ জুন রাজস্থানের তিনটি রাজ্যসভা আসনে ভোট।
Be the first to comment