ব্যাপক উত্তেজনা ভারত-চিন সীমান্তে। চিনের সেনাবাহিনীর ছোঁড়া বুলেটের আঘাতে শহিদ সেনাবাহিনীর এক অফিসার সহ দুই জওয়ান। জানা যাচ্ছে, সোমবার দুপুরে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। আর তা আসার পরেই তিন বাহিনীর সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে বসেন রাজনাথ সিং।
ভারতীয় সেনা, নৌবাহিনী এবং বায়ুসেনার আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। এমনকি ছিলেন, চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতও। ইন্দো-ভারত সীমান্তের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে খবর। কীভাবে পরবর্তী পরিস্থিতির মোকাবিলা করা সম্ভব তা নিয়েও সেনাবাহিনীর এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে, বিকেল তিনটে থেকে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। মোদীর নেতৃত্বে এই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। যেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ সহ মন্ত্রকের একাধিক আধিকারিকদের থাকার কথা রয়েছে। থাকতে পারেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালও। এছাড়াও সেনাবাহিনীর শীর্ষ আধিকারিকরা।
জানা যাচ্ছে, সোমবার রাতে ভারত এবং চিন সীমান্তে ঠিক কি ঘটেছিল সেই বিষয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। জানা যাচ্ছে, সংঘর্ষের পরেই ভারত-চিন সীমান্তে শুরু হয়েছে সেনা আধিকারিকদের একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক। যেখানে চিনের বাহিনীও রয়েছে। সেই বৈঠকের কি পরিস্থিতি তা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
অন্যদিকে মনে করা হচ্ছে, ঘটনার পর পরবর্তী কৌশল ভারতের কি হবে সেই বিষয়েই আলোচনা হতে পারে এই বৈঠকে। সবমিলিয়ে ভারত এবং চিনের উত্তেজনার পরেই শুরু হয়েছে সর্বস্তরে উত্তেজনা।
প্রসঙ্গত, লাদাখে মুখোমুখি ভারত-চিন সেনাবাহিনী। ব্যাপক টেনশন শুরু। ১৯৬৭ সালের পর এই প্রথম ভারত এবং চিন সীমান্তে চলল গোলাগুলি। জানা যাচ্ছে, লাদাখের গালওয়ান ভ্যালিতে ভারত এবং চিনের সেনাবাহিনী মুখোমুখি হয়। চিনের সেনাবাহিনীর তরফে ব্যাপক গোলাগুলি শুরু হয় বলে অভিযোগ।
চিনের দিক থেকে ছোঁড়া গুলিতে ভারতীয় সেনার এক অফিসার শহিদ হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। শুধু এক কর্নেলই নয়, ভারতীয় সেনার দুই জওয়ানেরও মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে ভারতের কাছে ঘটণার বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে যে, ভারত যেন দ্রুত কোনও সিদ্ধান্ত না নেয়। তাতে পরিস্থিতি জটিল হতে পারে।
Be the first to comment