শহিদ হয়েছেন ভারতের এক আর্মি আফিসার ও দুই জওয়ান। মঙ্গলবার সকালেই প্রকাশ্যে এসেছে এই খবর। আর এরপরই একের পর এক পাল্টা দাবি চাপাতে শুরু করেছে চিন।
প্রথমেই চিন দাবি করে যে ভারতীয় সেনা নাকি সীমান্তে পেরিয়ে উত্যক্ত করেছে চিনকে। এরপর তাদের দাবি, চিনের পাঁচ সৈন্যের মৃত্যু হয়েছে সোমবার রাতের ওই সংঘাতে। চিনের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসের এক সাংবাদিক ট্যুইটারে লেখেন, ‘সিনের সেনাবাহিনীর পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে ১১ জন।’ ভারতে সেই খবর পৌঁছতেই ফের সুর পাল্টে দেয় বেজিং। ওই সংবাদমাধ্যমই ফের ট্যুইটারে দাবি করে যে, তাদের কাছে কোনও নিশ্চিত খবর নেই। তারা কোনও সংখ্যা প্রকাশ করছে না। ওই সাংবাদিকও পরে লিখেছেন যে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের উচিৎ হয়নি তাঁর দেওয়া তথ্য উল্লেখ করা।
এদিকে এর কিছুক্ষণ বাদেই গ্লোবাল টাইমসের এডিটর ইন চিফ তাঁর ট্যুইটারে লেখেন, গালোয়ান ভ্যালিতে হওয়া সংঘাতে চিনেও হতাহত হয়েছে। আমি ভারতকে বলতে চাই যে তারা উদ্ধত না হয়। আমরা চাই না ভারত-সীমান্তে কোনও সংঘাত হোক, তবে আমরা ভয়ও পাই না।
চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়াং জানিয়েছেন দাবি করেছেন, সোমবার নাকি পর পর দুবার সীমান্ত পার করে চিনের দিকে ঢোকার চেষ্টা করে ভারতীয় সেনা। চিনের সেনাবাহিনীকে উক্তত্য করা হয়েছে।
শুধু তাই নয়, চিনের বাহিনীর উপর আক্রমণ করা হয়েছে বলেও ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ। বারবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর এহেন উস্কানির জবাব শুধুমাত্র চিন দিয়েছে বলে দাবি লালচিনের। যদিও গুলি চালানোর কথা এখনও পর্যন্ত কিছু বলা হয়নি সে দেশের বিদেশমন্ত্রকের তরফে।
গত দেড় মাস ধরে সংঘাত চলছে ভারত-চিন সীমান্তে। একের পর এক বৈঠকেও কোনও সমাধান মেলেনি। এই ঘটনার পরেই সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের নেতৃত্বে এই জরুরি বৈঠক হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে। যেখানে উপস্থিত রয়েছেন চিফ অফ আর্মি স্টাফ বিপিন রাওয়াত। বৈঠক শেষেই হয়তো এই বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হতে পারে বলে সূত্রে জানা যাচ্ছে।
Be the first to comment