৪১টি কয়লা খনির নিলাম প্রক্রিয়া শুরু হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত ধরে। করোনাভাইরাসের কারণে লকডাউনে হওয়া মানুষের দুর্গতি প্রশমনে এবং দেশকে আত্মনির্ভর হিসেবে গড়ে তুলতে কেন্দ্র এই ‘বিরাট’ পদক্ষেপ করেছে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার মোদী বলেন, ‘কয়লা খনির নিলাম শুরু হওয়াটা সব স্টেক হোল্ডারের কাছেই জয়ের পরিস্থিতি। দীর্ঘদিন ধরে লকডাউনে থাকার পর তার থেকে বেরিয়ে এসেছে কয়লাক্ষেত্র। এখন কয়লার জন্য বাজার খুলে গেল। এতে অন্যান্য ক্ষেত্রগুলিরও সুবিধে হবে।’ নমোর কথায়, ‘বিষয়টি কয়লাকে নিয়ে হলেও স্বপ্নটা হিরে নিয়ে দেখতে হবে।’
কেন্দ্রীয় সরকার কয়লাখনিগুলির বৈদ্যুতিন নিলাম শুরু করেছে। এই নিলাম হবে দুটি ধাপে। খনির নিলাম শুরুর মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিল্পগুলি এখন নতুন উপাদান খুঁজে পাবে এবং তাঁদের ব্যবসা ও বিনিয়োগের জন্য নতুন বাজারও পাবে তারা। কয়লাখনির বেসরকারিকরণে উত্পাদন বাড়ার পাশাপাশি প্রতিযোগিতার বাজারও বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহেই কয়লাখনির সম্পূর্ণ বেসরকারিকরণের খবর নিশ্চিত করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। খনি ও শক্তিক্ষেত্রের বিনিয়োগকারীদের সুযোগ দিয়ে দেশের অর্থনীতিকে আরও চাঙ্গা করা যাবে বলে আশাপ্রকাশ করা হয়।
কলকাতায় বণিকসভা ফিকি-র সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত এক আলোচনাসভায় গত বছর কেন্দ্রীয় কয়লা সচিব সুমন্ত চৌধুরী জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র ৪৬টি কয়লা খনি নিলাম ও বণ্টন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যার মধ্যে ৪২টির প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। এই ৪৬টি খনির মধ্যে ৩০টি নিলামের মাধ্যমে বেসরকারি ক্ষেত্রকে এবং ১৬টি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন সংস্থাকে চলতি বছরের মধ্যেই বণ্টন করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কয়লা মন্ত্রক। এই ৪৬টি খনি যারা পাবে তারা উৎপাদিত কয়লার নিজেদের কাজে অথবা নির্ধারিত প্রয়োজনে ব্যবহারের পর ২৫ শতাংশ যে কোনও দামে বাজারে বিক্রি করতে পারবে। এ ব্যাপারে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেয়।
Be the first to comment