দীর্ঘ চার শতক পর ভারত এবং চিন সীমান্তে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ। ২০ সেনা-জওয়ান শহিদ। রডের উপর কাটা, তার লাগিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর উপর নৃশংস হামলা চালিয়েছে চিন। প্রতিশোধের আগুনের ফুঁসছে সেনা। প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেশজুড়ে। উত্তপ্ত পরিস্থিতি। আর এই উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই ৩৩টি নতুন যুদ্ধবিমান কেনার প্রস্তাব ভারতীয় বায়ুসেনার। রাশিয়ার ফিফথ জেনারেশন বিমান কেনার প্রস্তাব।
ইতিমধ্যে সরকারের কাছে এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। ৩৩টি নতুন সামরিক বিমানের মধ্যে রাশিয়া থেকে ২১টি মিগ-২৯ ও ১২টি সু-৩০এমকেআই কেনার দাবি রয়েছে। সরকারি সূত্রে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলা হয়েছে, বিমানবাহিনী বেশ কিছুদিন ধরেই নতুন বিমান কেনার কথা বলছে। তবে চিন যে ভাবে সীমান্তে আগ্রাসন চালাচ্ছে তাতে দ্রুত যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে গতি বাড়ানো হয়েছে বলে খবর।
শোনা যাচ্ছে, আগামী সপ্তাহেই এই বিষয়ে জরুরি এক বৈঠকে বসতে পারে মোদী সরকার। সেই বৈঠকে থাকতে পারেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের আধিকারিকরাও। সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত ছাড়পত্রের পাওয়ার জন্য নতুন বিমান কেনার প্রস্তাবটি তোলা হতে পারে। পুরো প্রস্তাবের অর্থমূল্য হতে পারে ৬০০০ কোটি টাকার ওপর।
জানা যাচ্ছে, বিভিন্ন সময়ে একাধিক দুর্ঘটনায় প্রচুর বিমান হারিয়েছে ভারতীয় বায়ুসেনা। দ্রুত সেই সমস্ত যুদ্ধবিমানের বদলি হিসাবেই ১২টি সু-৩০এমকেআই বিমান সংগ্রহের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। গত ১০-১৫ বছরে ভারত বিভিন্ন ব্যাচে ২৭২টি সু-৩০ লড়াকু জেটবিমানের অর্ডার দিয়েছিল এবং সিনিয়র অফিসাররা মনে করছেন, এখনও পর্যন্ত যতগুলি বিমান জোগাড় হয়েছে, তাতে বায়ুসেনার হেভিওয়েট এয়ারক্র্যাফটের চাহিদা মিটতে পারে। বায়ুসেনা যে ২১টি মিগ-২৯ হাতে পাওয়ার পরিকল্পনা করছে, সেগুলি আসবে রাশিয়া থেকে।
ভারতীয় বায়ুসেনার নতুন যুদ্ধবিমানের প্রয়োজন মেটাতে এই বিমানগুলি বিক্রির প্রস্তাব দিয়েছে রাশিয়া। এই মিগ-২৯ বিমানগুলির কাঠামো দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারের উপযোগী কিনা, সে ব্য়াপারে ইতিমধ্যেই সমীক্ষা চালিয়েছে বায়ুসেনা। দেখা গিয়েছে, সেগুলি একেবারে নতুন অবস্থায় আছে।
Be the first to comment