শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি তমোনাশ ঘোষের, উদ্বিগ্ন সকলেই

Spread the love

ভালো নেই তমোনাশ ঘোষ। ফলতার বিধায়ক ‌তথা তৃণমূল কংগ্রেসের কোষাধ্যক্ষ তমোনাশবাবুর শারীরিক অবস্থা অনেক দিন ধরেই খারাপ। করোনা আক্রান্ত বিধায়ককে সুস্থ করতে চিকিৎসকরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

এদিকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে বলেন, “তমোনাশ বাঁচবে কিনা জানিনা। ওর অবস্থা খুব খারাপ।”

উল্লেখ্য, ফলতার তিনবারের বিধায়ক তমোনাশ ঘোষ থাকেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কাছেই। হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের বাসিন্দাদের অনেকেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তবে কলকাতায় নয়, দুর্গাপুর থেকেই তমোনাশবাবু সংক্রমিত হন বলে মনে করা হয়। তিনি দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের চেয়ারম্যানের দায়িত্বেও রয়েছেন। মে মাসে তিনি এসবিএসটিসির কাজেই দুর্গাপুর গিয়েছিলেন বলে জানা যায়। কলকাতায় ফেরেন ২২ মে।

এরপরই এই তৃণমূল নেতার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রিপোর্টে দেখা যায় কোভিড পজিটিভ। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্গাপুর থেকে শরীর খারাপ নিয়ে ফেরার পরই জানানো দরকার ছিল। প্রথম থেকেই সতর্ক হলে এতটা খারাপ অবস্থা হত না।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছিল ফলতার বিধায়ককে। প্রথম থেকেই তাঁর তীব্র শ্বাসকষ্ট ছিল। সেই সঙ্গে রক্তে অক্সিজেন স্যাচুরেশন ছিল খুব কম। রক্তে শর্করার পরিমাণও অত্যধিক বেশি ছিল।

এছাড়াও রক্তে সোডিয়ামও ছিল বেশি। ভেন্টিলেটরে থাকাকালীন মাঝে কিছু উন্নতি হয়েছিল তাঁর। রক্তে সুগারের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়েছিল, অক্সিজেন স্যাচুরেশন বেড়েছিল, তা ছাড়া সোডিয়ামের পরিমাণও কমেছিল। কিন্তু হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, ফের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে তমোনাশবাবু। তবে চিকিৎসকরা সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তমোনাশবাবুর সংক্রমণের পর তাঁর দুই মেয়ের শরীরেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছিল। তা ছাড়া যে দুই ব্যক্তি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করতে নিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের দু’জনের শরীরে কোভিড পজিটিভ পাওয়া যায়। তাঁদের একজনের স্ত্রীর শরীরেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঘটে। তবে এঁদের কারও ঝুঁকি বিশেষ নেই বরং ইতিমধ্যে সুস্থ হয়ে তাঁদের বেশিরভাগই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*