কেন্দ্র ও রাজ্য, দুই সরকারের অনুমোদন থাকলেও চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ থাকবে কালীঘাট মন্দির। ১ জুলাই থেকে খুলছে মন্দির। ফলে রথযাত্রার পরে বিপত্তারিণী পুজো উপলক্ষে মন্দির খোলার কোনও সুযোগ নেই। কালীঘাট মন্দির কমিটির তরফে বক্তব্য, ৩০ জুন পর্যন্ত লকডাউন থাকায় তার আগে মন্দির না খোলার ব্যাপারে বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মন্দিরের তরফে জানা গিয়েছে , আপাতত সকাল ৭ টা থেকে বেলা ১২ টা ও বিকেল ৪ টে থেকে সন্ধে ৭ টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মন্দির। একসঙ্গে ১০ জনের বেশি প্রবেশ করতে পারবেন না। ভক্তদের প্রত্যেককে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, স্যানিটাউজার। তবে, মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি মিললেও আপাতত গর্ভগৃহে যেতে পারবেন না ভক্তরা। পুজো দেওয়ার জন্য কোনও রকম পুজোর সামগ্রী আনা যাবে না। তবে সাধারণভাবে রথযাত্রার পর বিপত্তারিণী পুজো দেওয়ার জন্য ভক্তদের ঢল নামে কালীঘাটে। এ বার সেই পুজোর জন্যও মন্দির খোলার কোনও সুযোগ নেই।
মন্দির খোলার সিদ্ধান্তে খুশি ভক্তরা। একসঙ্গে মন্দির চত্বরে ঢুকতে পারবেন ১০ জন। ভক্তদের ২ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করে ৪ নম্বর গেট দিয়ে বের করানো হবে বলে জানা গিয়েছে। কয়েকদিন আগেই খুলে গিয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির ও বেলুড় মঠ। দীর্ঘ তিনমাস পর খুলছে তারাপীঠ মন্দিরও। রথযাত্রার দিন খুলবে মন্দিরের দরজা। তবে গর্ভগৃহে ঢুকতে পারবেন না পুণ্যার্থীরা, বাইরে থেকে দর্শন করতে হবে বিগ্রহকে। মন্দির খুললেও এবার রথযাত্রা স্থগিত থাকছে। কমিটির সদস্যরা জানান, ব্যতিক্রমী রথযাত্রা দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় জমান। তাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা খুবই কঠিন। তাই সংক্রমণ রোধে রথযাত্রা বন্ধ রাখা হচ্ছে।
সেবাইতরা জানিয়েছেন, ওইদিন বিকেলে মন্দিরের কাছে রথ এনে মায়ের প্রতিকৃতি চাপিয়ে বিশেষ পুজো করা হবে। তবে, ওই রথের চাকা গড়াবে না। উল্টোরথেও একই নিয়ম বজায় থাকবে। এছাড়া ভক্তরা ভাণ্ডারা দিতে পারবেন। সামাজিক দূরত্ব বিধি বজায় রেখে শ্মশানে খাওয়াতে হবে। মন্দির চত্বরে বসে কেউ ভোগ খেতে পারবেন না। সামাজিক দূরত্ব-বিধি মেনে লাইন দিতে হবে। সতকর্তামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মন্দির চত্বরে বসানো হয়েছে তিনটি স্যানিটাইজেশন টানেল। তার মধ্যে দিয়েই ঢুকতে হবে দর্শনার্থীদের। অবশেষে প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে ভক্তদের জন্য খুলে যাচ্ছে কালীঘাট মন্দিরও।
Be the first to comment