এরকম রথযাত্রা হয়তো প্রথমবার দেখলো পুরী ৷ যে পুরীর রথযাত্রা দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে লোকজন সমাগম হতো পুরীধামে ৷ করোনার আবহে সেখানে আজ হাতে গোণা লোকজন৷ আর সেই হাতে গোণা লোকজন নিয়ে এবং সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া প্রত্যেকটি গাইড লাইন মেনেই চলছে পুরীর রথযাত্রা ৷ রয়েছে মাস্ক, রয়েছে সামাজিক দুরত্ব ৷ তারই মাঝে জগন্নাথ, বলরাম শুভদ্রা চড়লেন রথ ! পুরীর রথে দড়িতে এভাবেই পড়লো টান ৷
রথ টানবেন মন্দিরের দেড় হাজার সেবায়েত। সরকারি ভাবে যদিও ১২০০ সেবায়েতের কথাই বলা হচ্ছে। রথের রশি টানার আগে সেবায়েতদের কোভিড পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হচ্ছে। রথ টানার সময়ে মুখে মাস্ক বাধ্যতামূলক। স্যানিটাইজার ব্যবহার করার দিকেও থাকবে কড়া নজরদারি। সব মিলিয়ে অভূতপূর্ব একটা পরিবেশ। রথযাত্রায় যথা সম্ভব সামাজিক দূরত্ব রক্ষার কথাও বলা হচ্ছে।
জগন্নাথ দেবের পুজো আচারের রীতিনীতি চূড়ান্ত করতে সোমবার দুপুর থেকেই দফায় দফায় বৈঠক করছে মন্দির সোসাইটি। পুরীর মন্দিরের মুখ্য দৈতাপতি রাজেশ দৈতাপতি জানান, “সকাল সাতটায় রথে উঠবেন মহাপ্রভু। তারপর রাজা এসে ঝাড়ু দেবেন। মহাপ্রভুর দর্শন করবেন শঙ্করাচার্য। এই সব রীতি নীতি মিটিয়ে দুপুর বারোটা নাগাদ জগন্নাথ দেবের রথ গুন্ডিচায় মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে।” তিন কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করবে মহাপ্রভুর রথ।
পুরীর মন্দিরের দৈতাপতি নিয়োজক কমিটির সভাপতি রবীন্দ্র মহাপাত্র বলেন, “কোভিড পরিস্থিতিতে জগন্নাথ দেবের রথ যাত্রায় কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে। ভক্তদের জন্য খারাপ লাগবে। তবে প্রভুর রথযাত্রা সকলের জন্য মঙ্গল বার্তা বয়ে নিয়ে আসবে।”
এদিকে পুরীর রথযাত্রায় সরকারি সীলমোহর পড়ার পরে পরেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুভেচ্ছা জানান। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে মহাপ্রভুর জগন্নাথ দেবের পুজোও হয়েছে। করোনা মোকাবিলা ও বিশ্ব শান্তির জন্য বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুরোধে মঙ্গলবার রথযাত্রায় বিশেষ পূজা পাঠ করবেন বলেও জানান রাজেশ দৈতাপতি।
Be the first to comment