লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে সংঘাতে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার জন্য বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র অব্যবস্থা দায়ী বলে মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। মঙ্গলবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এ কথা বলেছেন সনিয়া।
এদিন দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করেন অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেস সভানেত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “লাদাখ সীমান্তে যে সংকট তৈরি হয়েছে তার জন্য দায়ী বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র অব্যবস্থা এবং ভুল নীতি।”
তিনি আরও বলেন, “করোনা মহামারীর জন্য দেশে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে সীমান্তের পরিস্থিতিও গুরুতর। এই দুই সংকটের জন্যই দায়ী কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ তারা পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।”
দেশের সার্বভৌমত্ব নিয়েও এদিনের বৈঠকে নরেন্দ্র মোদী সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন সনিয়া। ভুলে গেলে চলবে না, লাদাখ নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আগে চিনা সেনারা ভারতের ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ত কিন্তু বাধা পেত না। এখন চিনকে বাধা দিচ্ছে সেনাবাহিনী। তাই সংঘাত।
কংগ্রেসের নাম না করলেও মোদীর নিশানা যে ছিল নয়াদিল্লির ১০ জনপথের দিকে তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। প্রসঙ্গত, মনমোহন সিং জামানাতেও লাদাখ, অরুণাচলে চিনা সেনারা ‘বদমাইশি’ করত। কিন্তু এবার নজিরবিহীন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। অনেকের মতে, ১৯৬৭ সালের পর চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির এমন আগ্রাসী রূপ আর দেখা যায়নি।
সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, “আমাদের ভূখণ্ডে কেউ ঢোকেনি। আমাদের কোনও সেনা চৌকিও দখল হয়ে যায়নি।” তারপর থেকেই রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেস নেতারা প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি আমাদের সীমানায় নাই ঢুকে থাকে তাহলে সংঘাত হল কী করে?
বেজিংয়ের বক্তব্য ছিল, ভারতীয় সেনারা চিনের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল। বিরোধীদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর এহেন আলটপকা মন্তব্য চিনের দাবিতে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যখন এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য করবেন বা বিবৃতি দেবেন তখন তাঁর শব্দ চয়নের বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। যাতে প্রতিপক্ষকে শক্তি না জোগায়।
কংগ্রেসের নাম না করলেও মোদীর নিশানা যে ছিল নয়াদিল্লির ১০ জনপথের দিকে তা বুঝতে কারও অসুবিধা হয়নি। প্রসঙ্গত, মনমোহন সিং জামানাতেও লাদাখ, অরুণাচলে চিনা সেনারা ‘বদমাইশি’ করত। কিন্তু এবার নজিরবিহীন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ২০ জন ভারতীয় জওয়ান শহিদ হন। অনেকের মতে, ১৯৬৭ সালের পর চিনের পিপলস লিবারেশন আর্মির এমন আগ্রাসী রূপ আর দেখা যায়নি।
সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্তব্য করেছিলেন, “আমাদের ভূখণ্ডে কেউ ঢোকেনি। আমাদের কোনও সেনা চৌকিও দখল হয়ে যায়নি।” তারপর থেকেই রাহুল গান্ধী-সহ কংগ্রেস নেতারা প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি আমাদের সীমানায় নাই ঢুকে থাকে তাহলে সংঘাত হল কী করে?
বেজিংয়ের বক্তব্য ছিল, ভারতীয় সেনারা চিনের সীমানায় ঢুকে পড়েছিল। বিরোধীদের বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর এহেন আলটপকা মন্তব্য চিনের দাবিতে সিলমোহর দিয়ে দিয়েছে। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যখন এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে মন্তব্য করবেন বা বিবৃতি দেবেন তখন তাঁর শব্দ চয়নের বিষয়ে সতর্ক হওয়া উচিত। যাতে প্রতিপক্ষকে শক্তি না জোগায়।
Be the first to comment