ন্যাশনাল পিপল’স পার্টি (NPP) আবার জোটে ফেরায় শেষ পর্যন্ত মণিপুর বিধানসভা ধরে রাখতে সমর্থ হল ভারতীয় জনতা পার্টি। স্বস্তি ফিরল বিজেপিতে। মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সঙ্গে মতানৈক্যের জেরে বিজেপির জোট ছেড়ে সম্প্রতি বেরিয়ে যান এপিপির বিধায়কেরা। যার জেরে মণিপুরে প্রবল সংকটে পড়ে বিজেপি সরকার। সমর্থন সরে যাওয়ায়, বিধানসভায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়ে মণিপুরের শাসকদল। সরকার ভেঙে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেখান থেকে আবারও খেলা ঘুরিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহ।
অমিতের চালেই, ভাঙা ঘর ফের জোড়া লেগেছে। সূত্রের খবর, বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা বলার পরেই ফের বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোটে ফিরে আসতে রাজি হয়েছেন এপিপির বিধায়কেরা।
মতানৈক্যের জের সম্প্রতি এনপিপির চার বিধায়ক এবং বিজেপির তিন বিধায়ক এন বীরেন সিংয়ের সরকারের উপর থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেন। বিরোধ মেটাতে মঞ্চে অবতীর্ণ হন বিজেপির ট্রাবল-শ্যুটার হিমন্ত শর্মা। তিনি আবার উত্তর পূর্ব গণতান্ত্রিক জোট-এর আহ্বায়কও। অসমের মন্ত্রী সেই হিমন্তই অমিত শাহের সঙ্গে এনপিপি প্রতিনিধিদের কথা বলার ব্যবস্থা করে দেন।
বৈঠকের পর হিমন্ত শর্মা ট্যুইট করে জানান, সাংমা কনরাড এবং মণিপুরের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই জয়কুমার সিংয়ের নেতৃত্বে এনপিপির প্রতিনিধি দল আজ (বুধবার) নয়াদিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। বিজেপি এবং এনপিপি উভয়ই মণিপুরের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে।
এনপিপি-সহ বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোটের একধিক বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংয়ের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই অসন্তোষ জানিয়ে আসছেন। বীরেন সিংয়ের অপসারণের দাবি তাঁরা একাধিকবার জানিয়েছেন। সেই অসন্তোষ থেকেই জোট ছেড়ে বেরিয়ে যান মোট ৯ বিধায়ক। এনপিপির চার বিধায়ক, বিজেপির তিন বিধায়ক ছাড়াও রয়েছেন একজন নির্দল এবং বাকি একজন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক।
সংগঠনের উত্তর-পূর্বের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব এদিন ইম্ফল বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘আমার থেকে শুনুন। ২০২২ সাল পর্যন্ত (পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচন) আমাদের সরকার স্থিতিশীল থাকবে।’
রাজ্যসভা ভোটের আগে-আগেই তিন বিজেপি বিধায়ক কংগ্রেসে যোগ দেওয়ায় মণিপুরে সংকটে পড়ে গিয়েছিল গেরুয়া শিবির। ৬০ সদস্যের মণিপুর বিধানসভায় বিজেপি বিধায়কের সংখ্যা ২১ থেকে কমে হয়ে যায় ১৮। অন্য দিকে, ন্যাশনালিস্ট পিপলস পার্টি (NPP)-র চার মন্ত্রী-সহ জোটের আরও ছয় বিধায়ক বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায়, বিপাকে পড়ে গিয়েছিল বিজেপি জোট।
Be the first to comment