২৪ ঘন্টা কাটতে না কাটতেই ফের কম্পন অনুভূত হল জম্মু ও কাশ্মীরে। শনিবার দুপুর ১২.৩২ নাগাদ জম্মু ও কাশ্মীরের হানলের উত্তরপূর্ব দিক থেকে ৩৩২ কিমি দূরে ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে তীব্রতা ছিল ৪.৪।
শুক্রবার বিকেলেও কেঁপে ওঠে কাশ্মীর উপত্যকার একাংশ। কম্পন অনুভূত হয় জম্মুর ডোডা ও কিশটওয়ার জেলায়। জাতীয় ভূমিকম্প কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছিল, শুক্রবার লাদাখে মাঝারি মাপের কম্পন হয়। রিখটার স্কেলে কম্পনের তীব্রতা ছিল ৪.৫। তার জেরেই কাশ্মীর উপত্যকার বিস্তৃণ এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়। ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২৫ কিমি গভীরে কম্পনের কেন্দ্রস্থল ছিল।
ভারতের উত্তর, পূর্ব ও পশ্চিমের রাজ্যগুলির বিভিন্ন এলাকায় প্রায় প্রতিদিনই কম্পন অনুভূত হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ১৪ জুন কাশ্মীর উপত্যকায় কম্পন অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে সেই সময় কম্পনের তীব্রতা ছিল ৩.২। ওই ঘটনায় কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। টানা তিনদিন।
তবে শুধু কাশ্মীর উপত্যকাই নয়, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লি, গুজরাত, মুম্বই, মিজোরাম, নাগাল্যান্ডে পর পর কম্পন অনুভূত হচ্ছে। আতঙ্কে স্থানীয়রা বাড়ির বাইরে নেমে পড়েছে। মানুষের মনে প্রবল আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। জিওলজিস্টদের মতে বারবার ছোটোখাট কম্পন আগামী দিনে বড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত হওয়ার সম্ভাবনা হতে পারে। অদূর ভবিষ্যতে বড় কম্পনের কবলে দিল্লি ও তার আশপাশের অঞ্চল পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেক বিশেষজ্ঞ।
ওয়াদিয়া ইনস্টিটিউট অফ হিমালয়ান জিওলজির প্রধান ড. কালাচাঁদ সেন জানিয়েছেন, রাজধানী ও তার আশপাশে ভূস্তরের নীচে যে সিসমিক অ্যাক্টিভিটি ক্রমাগত চলছে তা এই ছোটখাট কম্পনে বোঝা যাচ্ছে। সেই কারণেই দিল্লিতে অদূর ভবিষ্যতে বড় কম্পনের আশঙ্কা রয়েছে।
Be the first to comment