গ্রীণ জোন ছিল গোয়া। সমুদ্রসৈকত নগরী গোয়ায় এখন গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। এমনই জানাচ্ছেন খোদ গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সাওয়ান্ত।
গোয়ায় ক্রমশ বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে অন্তর্দেশীয় বিমান পরিষেবা ও আন্তঃরাজ্য সড়ক যাতায়াত শুরু হওয়ার পরেই গোয়ায় সংক্রমণ বৃদ্ধি শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রমোদ সাওয়ান্ত।
শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, যে হারে গোয়ায় সংক্রমণ ছড়াচ্ছে, তাতে এটা স্পষ্ট যে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে রাজ্যে। গোয়া জুড়ে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে, এক রোগী থেকে আরেক জনের মধ্যে ছড়িয়ে যাচ্ছে সংক্রমণ। একে আটকানো যাচ্ছে না। ফলে গোয়া সরকার স্বীকার করছে যে এখানে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে।
এক ভার্চুয়াল প্রেস কনফারেন্সে মুখ্যমন্ত্রী বলেন নতুন করে গাইডলাইন প্রকাশিত হয়েছে। প্রশাসন আরও কড়া হাতে গোটা পরিস্থিতির মোকাবিলা করবে বলে জানানো হয়েছে। তৈরি হয়েছে নতুন এসওপি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর।
সাওয়ান্ত এদিন জানান, একমাত্র এই রাজ্যেই প্রবেশ করতে গেলে তাদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, নয়তো সেই ব্যক্তিকে ১৪দিনে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হচ্ছে।
দক্ষিণ গোয়ার ভাস্কো টাউনের মাঙ্গোর হিল ও উত্তর গোয়ার সাত্তারি তালুকার মোরলেম গ্রামকে কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। আরও বেশ কয়েকটি ছোট কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করে সেই এলাকা পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার নতুন করে ৪৪জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে গোয়ার স্বাস্থ্য দফতর। গোটা রাজ্যে ১০৩৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৬৬৭।
এদিকে গোটা দেশে মর্মান্তিক পরিস্থিতি। হু হু করে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। টানা লকডাউনেও আটকে রাখা গেল না করোনাকে। দেশজুড়ে প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। শুক্রবার ১৭ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় ৫ লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গেছে দেশ।
Be the first to comment