দীর্ঘ লকডাউন এবং আনলক ওয়ান পর্বেও বন্ধ ছিল কলকাতার অন্যতম প্রধান তীর্থ কালীঘাট। আনলক টুয়ের প্রথম দিনেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল মন্দিরের দরজা। এবার থেকে ভক্তরা আসতে পারবেন দেবীর কাছে। পুজোও দিতে পারবেন কিন্তু মানতে হবে বিধিনিষেধ।
বুধবার সকাল ছ’টায় ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয় মন্দিরের দরজা। সকাল থেকেই বাজছে নহবতের সানাই। সুরের মূর্চ্ছনায় প্রায় একশো দিন পরে ফের প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে মন্দির চত্বর। আনলক ওয়ানেই সব ধর্মস্থানা খোলার অনুমতি মিলেছিল। কিন্তু তাতেও বন্ধই ছিল কালীঘাট। বলা হয়েছিল আনলক টু-এর শুরুর দিনেই খুলে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। সেই মতো বুধবার ভক্তদের জন্য খুলে গেল কালীঘাট মন্দির। যদিও আপাতত দশ ফুট দূর থেকে শক্তিপীঠ দর্শনের সুযোগ মিলবে। সেখান থেকেই পুজো দিতে হবে। কারণ, এখনও বন্ধই থাকছে গর্ভগৃহ।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে মার্চ মাসেই বন্ধ হয়েছিল কালীঘাট মন্দির। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাসের লকডাউনে কোনও মন্দির খোলাতেই অনুমতি ছিল না। এর পরে আনলক ওয়ানে দেশ এবং রাজ্যের সব ধর্মস্থান নিয়ম মেনে খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই মতো অনেক মন্দিরই খুলে যায়। কিন্তু সারাবছর ভিড় হোওয়া কালীঘাট মন্দিরে ভক্তদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা যাবে কিনা তা নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল। আর তার জন্যই জুনেও বন্ধ ছিল কালীঘাট মন্দির। পরবর্তী সময়ে মন্দির কমিটি সিদ্ধান্ত নেয়, ১ জুলাই থেকে মন্দির ভক্তদের জন্য খোলা হবে। সেই মতো এদিন মন্দিরের দরজা খুললেও একাধিক নিয়ম মানতে হবে।
জানা গিয়েছে, আপাতত গর্ভগৃহ বন্ধই থাকবে। গর্ভগৃহের সামনে জোড়বাংলো পর্যন্ত আসতে পারবেন ভক্তরা। যেখানে প্রদীপ রাখা থাকে সেই জায়গা পর্যন্ত প্রবেশের অনুমতি মিলবে। সেই দশ ফুট দূর থেকেই দেবী প্রণাম সারতে হবে। প্রতিদিন মন্দির খোলা থাকবে সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা এবং বিকেল ৪টে থেকে সন্ধে সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। ২ নম্বর গেট দিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করবেন পুণ্যার্থীরা। ৪ নম্বর গেট দিয়ে বেরতে হবে।
Be the first to comment