একের পর এক ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছিল দিল্লি। এমনকি অদূর ভবিষ্যতে আরও বড়সড় ভূমিকম্পের বার্তাও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর মধ্যে ফের একবার কেঁপে উঠল দিল্লি। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৪.৭। শুক্রবার সন্ধে সাতটা নাগাদ কম্পন অনুভূত হয়। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সেসমোলজির তরফে জানানো হয়েছে, এই কম্পনের উৎসস্থল ছিল রাজস্থানের আলওয়ারে ৩৫ কিলোমিটার দূরে ভূ-পৃষ্ঠের ১৮ কিলোমিটার নীচে। তবে, এখনও কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর নেই।
গত এপ্রিল মাস থেকে ২ মাসে পর পর ১২ বার কেঁপে ওঠে দিল্লি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কম্পন মৃদু হয়েছে। যার ফলে খুব কম ক্ষেত্রেই মানুষ কম্পন অনুভব করতে পেরেছেন। সেই কম্পন শুধুমাত্র সেসমোগ্রাফে ধরা পড়েছে।
একের পর মৃদু কম্পনের জেরে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই কম্পনগুলি কম মাত্রার হলেও আগামী দিনে বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। জিওলজিস্টদের মতে বারবার ছোটখাট কম্পন আগামী দিনে বড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত হতে পারে।
পাঁচটি ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলের মধ্যে দিল্লি চতুর্থ সর্বোচ্চ অঞ্চলের অধীনে পড়ে। যে কারণে ভূমিকম্পের ঝুঁকি রয়েছে। সিসমিক অ্যাক্টিভিটি ক্রমাগত চলছে তা এই ছোটখাট কম্পনে বোঝা যাচ্ছে। এই কারণেই দিল্লিতে অদূর ভবিষ্যতে বড় কম্পনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
শুক্রবারই দুপুর ২.৩৫ মিনিটে হঠাতই কেঁপে ওঠে মিজোরাম। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪.৬। ক্ষয়ক্ষতি বা প্রাণহানীর খবর পাওয়া যায়নি। পার্বত্য মিজোরামে প্রায় রোজই কেঁপে উঠছে। শুধুমাত্র জুন মাসেই ২.৮ থেকে ৪.৫ মাত্রায় চারটি ভূমিকম্প হয়েছে মিজোরামে। গুজরাত, জম্মু-কাশ্মীরেও নিয়মিত হারে হচ্ছে ভূমিকম্প।
সাম্প্রতিককালে বারবার ভূমিকম্পের কবলে পড়ছে দিল্লি। শুক্রবার কম্পন অনুভূত হওয়ার বেশ কয়েকদিন আগেও বিকেল ৩টে নাগাদ দিল্লিতে কম্পন অনুভূত হয়। যার উৎসস্থল ছিল হরিয়ানার রোহতক। এপ্রিল মাস থেকে ১২ বার কম্পন অনুভূত হয়েছে দিল্লি ও সংলগ্ন এলাকায়। তার মধ্যে ৮টি ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল রোহতক।
Be the first to comment