করোনাভাইরাস রুখতে সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সংক্রমণের শীর্ষে থাকা রাজ্যগুলি থেকে কলকাতায় বিমান আসার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর সেই দাবিকে মেনে নিল কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান চলাচলমন্ত্রক।
কলকাতা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ শনিবার দুপুরে টুইট করে জানাল, দেশের ৬টি রাজ্য থেকে ৬ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত কলকাতায় কোনও বিমান নামবে না। এই ছ’টি শহর হল– মুম্বই, দিল্লি, পুণে, চেন্নাই, আমদাবাদ এবং নাগপুর। ঘটনাচক্রে ৬টির মধ্যে তিনটিই মহারাষ্ট্রের।
গত সপ্তাহেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “পাঁচটি শহর থেকে যদি কলকাতায় বিমান না আসে তাহলে ভাল হয়।” কয়েক সপ্তাহ আগেই একটি ঘটনা ঘটেছিল। চেন্নাই থেকে দু’জন করোনা পজিটিভ রোগী দিব্যি প্লেনে চেপে কলকাতায় এসে নামেন। তাঁরা মেদিনীপুরের বাসিন্দা। তারপর পাঁশকুড়ার বড় মা হাসপাতালে গিয়ে বলেন তাঁরা পজিটিভ। তাঁদের শরীরে সংক্রমণ আছে জেনেও তাঁরা ফেরায় ক্ষোভ শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তা ছাড়া বিমানবন্দরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয় পেরিয়ে তাঁরা কী করে এলেন তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
পাঁচটি শহরের নাম উল্লেখ করেননি মমতা। বলেছিলেন, “আমি নাম বলছি না। যাঁরা বোঝাবার নিশ্চয়ই বুঝবেন।” অসামরিক বিমান চলাচল মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনুরোধেই ৬টি শহর থেকে ৬-১৯ জুলাই পর্যন্ত বিমান নামবে না কলকাতায়।
দেশে করোনা সংক্রমণে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তার মধ্যে বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়ের অবস্থা ভয়াবহ। চেন্নাইকে তামিলনাড়ুকে তৃতীয় স্থানে সরিয়ে সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে দিল্লি। তা ছাড়া গুজরাতও রয়েছে শীর্ষ রাজ্যগুলির মধ্যে।
এর আগে কর্ণাটক ও তামিলনাড়ুও সংক্রমণের শীর্ষে থাকা রাজ্যগুলি থেকে বিমান আসায় আপত্তি জানিয়েছিল। তা মেনে নিয়ে বিমান পরিষেবা বন্ধও রয়েছে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল বাংলাও। প্রসঙ্গত, দু’মাস লকডাউনের পরে গত ২৫ মে অভ্যন্তরীণ বিমান পরিষেবা শুরু হয়েছে। এখনও বন্ধ আন্তর্জাতিক উড়ান।
Be the first to comment