আবারো পিছিয়ে গেল সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা ও ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষাগুলি। শুক্রবার পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার খবর কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী ট্যুইট করে জানান। এদিন তিনি ট্যুইট করে বলেন ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা এবং শিক্ষার দিকে তাকিয়ে আমরা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা ও মেডিকেলে প্রবেশিকা পরীক্ষা স্থগিত রাখছি। JEE MAIN পরীক্ষা নেওয়া হবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। JEE ADVANCED পরীক্ষা নেওয়া হবে ২৭ শে সেপ্টেম্বর। সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা বা নিট নেওয়া হবে ১৩ ই সেপ্টেম্বর।
বৃহস্পতিবারই ট্যুইট করে কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী বলেছিলেন ” পড়ুয়া ও অভিভাবকদের তরফে অনুরোধ আসছে এই দুই পরীক্ষা নিয়ে। ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি এবং বিশেষজ্ঞদের বলেছি পরিস্থিতির পর্যালোচনা করে শুক্রবার এর মধ্যেই রিপোর্ট দিতে।” তারপরেই শুক্রবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি রিপোর্ট দেওয়ার পরপরই পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে।
ইতিমধ্যেই কেন্দ্র সিবিএসই এর পরীক্ষা বাতিল করেছে। কিন্তু এই ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কি অবস্থান হতে পারে তা নিয়েই মূলত আলোচনা করেন ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সির আধিকারিকরা। জুলাই মাসেই এই দুটি পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। বর্তমানে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিকে মাথায় রেখেই অভিভাবকদের তরফে এই দুটি পরীক্ষা পিছনোর আবেদন করা হয় কেন্দ্রের কাছে।
সর্বভারতীয় মেডিকেল প্রবেশিকা পরীক্ষা বা নিট হওয়ার কথা আগামী ২৬ শে জুলাই। ইতিমধ্যেই এক দফা এই পরীক্ষা পিছিয়ে ২৬শে জুলাই পরীক্ষা নেওয়ার দিন ঘোষণা করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি। কিন্তু বর্তমানে যে হারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়ছে সেই দিক থেকে কিভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে এন এ পরীক্ষা করানো সম্ভব তা নিয়ে কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রীর পরামর্শে ভাবনাচিন্তা শুরু করে ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি কর্তৃপক্ষ।
এদিকে আবার সিবিএসই, আইসিএসই বোর্ড এর পাশাপাশি এ রাজ্যের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়ার ঘোষণা শুক্রবারে করেছেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যদিও এ রাজ্যের কাছে স্বস্তির বিষয় ইতিমধ্যেই জয়েন্ট এন্ট্রাস বোর্ডের তরফে রাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষা নেওয়া হয়ে গেছে গত ফেব্রুয়ারি মাসেই। তাই রাজ্যের কাছে এই দিক থেকে স্বস্তির বিষয় হলেও এ রাজ্যের বহু সর্বভারতীয় প্রবেশিকা পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবে। এদিনের কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী তরফ এ ঘোষণার পর অভিভাবক ও ছাত্রছাত্রী মহলে অনেকটাই স্বস্তি দিল বলে মনে করা হচ্ছে।
Be the first to comment