করোনার কারণে পরীক্ষা বাতিল হয়ে গিয়েছিল আগেই। এবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ৩০% সিলেবাসও কমিয়ে দিল CBSE বোর্ড। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল মঙ্গলবার বলেন, ‘এমন একটা পরিস্থিতি এখন, যেখানে গোটা বিশ্ব ভুগছে করোনাভাইরাসে। এই পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের উপর থেকেও বোঝা কমাতে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সিলেবাস কমিয়ে দেওয়া হল।’
তবে, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, মূল বিষয়গুলি সিলেবাস থেকে কোনওভাবেই সরানো হচ্ছে না। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, গোটা দেশ থেকে প্রায় দেড় হাজার শিক্ষাবিদ তাঁকে পরামর্শ দিয়েছেন সিলেবাস কমানোর। সেই বিষয়গুলি নিয়ে নিরন্তর চিন্তাভাবনা করেই সিলেবাস কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এর আগে ১-১৫ জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষা হওয়ার কথা থাকলেও তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। CBSE পরীক্ষা নিয়ে মামলা উঠেছিল সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই সিবিএসই বোর্ড জানায়, পরীক্ষা বাতিলের পাশাপাশি শিক্ষাবর্ষও পরিবর্তন করা হবে। মূলত ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবেই বাতিল করা হয় পরীক্ষা।
বিশেষজ্ঞ কমিটির পর্যালোচনার পর কেন্দ্র ও CBSE বোর্ডের তরফে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি খানউইলকরের বেঞ্চকে এই তথ্য জানানো হয়েছিল। এর আগে CBSE বোর্ড বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, দ্বাদশ শ্রেণির বাকি থাকা পরীক্ষাগুলি ১ জুলাই থেকে ১৫ জুলায়ের মধ্যে নেওয়া হবে। ওই বিজ্ঞপ্তি বাতিলের আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল।
পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের একাংশ শীর্ষ আদালতে আর্জি জানিয়েছিল, দেশজুড়ে করোনা পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখেই বাতিল করা হোক পরীক্ষা। সেই মামলাতেই সিবিএসই বোর্ড ও কেন্দ্র জানিয়ে দেয় বাতিল করা হচ্ছে পরীক্ষা।
দশমের সব পরীক্ষা বাতিল হলেও দ্বাদশ শ্রেণির ক্ষেত্রে বলা হয়, শেষ তিন পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে মূল্যায়ন করা হবে। নাহলে অনুকূল পরিস্থিতিতে আয়োজিত পরীক্ষার জন্যে অপেক্ষা করতে হবে। এবার সিলেবাস কমিয়েও পড়ুয়াদের আরও কিছুটা নিশ্চিন্ত করল সিবিএসই বোর্ড।
এদিকে CBSE বোর্ড পরীক্ষা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই ICSE বোর্ডও জানিয়ে দেয়, তারাও বাতিল করছে পরীক্ষা। সেইমতো দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষা বাতিল বলে ঘোষণা করে আইসিএসই বোর্ড। সুপ্রিম কোর্ট ICSE বোর্ডকে জানিয়েছিল, তারা CBSE-র পথ অনুসরণ না-করে নিজেদের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। কিন্তু তা করেনি ISCE। তারা আগে জানিয়েছিল, ২ থেকে ১২ জুলাইয়ের মধ্যে বাকি পরীক্ষাগুলি নেওয়া হবে। তবে নয়া সিদ্ধান্তের পর সেই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করা হয়।
Be the first to comment