পঞ্চায়েতে দুর্নীতি সিপিএম আমলের অভ্যাস, তবে আমরা ৯০ শতাংশ আটকেছিঃ মমতা

Spread the love

বাম আমলে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলি ১০০ শতাংশ দুর্নীতিগ্রস্ত ছিল ৷ কিন্তু বর্তমান সরকারের আমলে তার ৯০ শতাংশই কমানো সম্ভব হয়েছে ৷ আমফানে ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে শাসক দল সহ রাজনৈতিক নেতাদের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগে একথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ বুধবার হাজরায় কলকাতা পুলিশের সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ কর্মসূচির উদ্বোধনে এসে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পঞ্চায়েতে দুর্নীতি বাম আমলের অভ্যাস, সারতে কিছুটা সময় লাগবে ৷

রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে আমফানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকারি আর্থিক ক্ষতিপূরণ বিলি নিয়ে দুর্নীতির অসংখ্য অভিযোগ সামনে এসেছে ৷ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির শাসক দলের নেতাদের বিরুদ্ধে ৷ কিছু ক্ষেত্রে বিরোধীদের হাতে থাকা পঞ্চায়েতগুলির বিরুদ্ধেও একই অভিযোগ উঠেছে ৷ একের পর এক অভিযোগ সামনে আসার পর বহু জায়গাতেই দলীয় নেতা এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে শাসক দল ৷ প্রশাসনিক স্তরেও অন্যায্ ভাবে যারা ক্ষতিপূরণ নিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

এই প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রী এদিন অভিযোগ করেন, আমফানের ক্ষতিপূরণ ও ত্রাণ বিলি নিয়ে রাজনৈতিক স্বার্থেই অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা ৷ তিনি বলেন,  সিপিএমের আমলে পঞ্চায়েতে ১০০ শতাংশ চুরি হতো ৷ আমরা তো ৯০ শতাংশই আটকাতে পেরেছি ৷ কারণ দুর্নীতির অভিযোগ পেলে আমি নিজের দলকেও ছাড়ি না ৷ একবারে তো সব চোরকে উৎখাত করা সম্ভব নয় ৷ মানুষের টাকা যাতে কেউ না নেয়, এটাই আমাদের নির্দেশ ৷ অভিযোগ পেলেই পুলিশ এফআইআর করছে ৷ কোথাও কোথাও হয়তো ৭-৮ শতাংশ আছে, সেটাও আস্তে আস্তে বন্ধ হয়ে যাবে ৷ এই মেকানিজমটা সিপিএম ৩৪ বছর ধরে তৈরি করেছে ৷ আর সেটা বন্ধ করতে আমি দিন রাত লড়াই করছি ৷’

শাসক দল এবং প্রশাসন কড়া হওয়ার পরই বহু জায়গায় অন্যায্য ভাবে নেওয়া সরকারি ক্ষতিপূরণের টাকা ফেরত দিয়েছেন অনেকেই ৷ সেই তালিকায় রয়েছেন শাসক দলের নেতা কর্মীরাও৷ এ দিন মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার বুঝিয়ে দিয়েছেন, দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে দলের কাউকেই রেয়াত করা হবে না ৷

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*