কলকাতা পুলিশের একটি অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে করোনা নিয়ে মানুষকে সচেতন হওয়ার আবেদন জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন,করোনায় ভয় পাওয়ার কিছু নেই। সময়ে চিকিৎসা করালে ভয়ের কিছু নেই৷ তাছাড়া বেশি পরীক্ষা হওয়ার জন্য আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে।
৫৫টি ল্যাবে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ হাজার টেস্ট হচ্ছে৷ তবে করোনা রুখতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন৷ যেখানে সেখানে ভিড় করবেন না৷ এছাড়া করোনা আক্রান্তদের জন্য ১০ লক্ষ টাকা বিমার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷
পাশাপাশি বলেন সুস্থ থাকতে চাইলে করোনা বিধি সম্পূর্ণ মেনে চলতে হবে৷ অন্যদিকে তিনি আরও বলেন ক্ষতিপূরণ নিয়ে যারা অনিয়ম করছে তাদের ব্যবস্থা নিচ্ছে পুলিশ। প্রসঙ্গত,রাজ্যে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুও। এমতাবস্থায় লকাউন শিথিল থাকলেও আর রিস্ক নিতে রাজি নয় সরকার।
আগামী বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে কড়া লকডাউন ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। নির্দেশিকা বলছে, রাজ্যের সব কন্টেনমেন্ট জোনে সব সরকারি এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। একই সঙ্গে কোনও রকম যান চলাচলের ক্ষেত্রেও নিষেধাজ্ঞা আনা হয়েছে। কল-কারখানা, মার্কেট কমপ্লেক্স, ব্যবসা বাণিজ্যেও নিষেধাজ্ঞা থাকবে।
জরুরি পরিষেবার ক্ষেত্রে রয়েছে ছাড়। কন্টেনমেন্ট এলাকায় যাতে নিয়ম মানা হয়, সে কারণে পুলিশ এবং প্রশাসনের কড়া নজরদারি থাকবে ২৪ ঘণ্টা ৷ কলকাতাতে মারাত্মক হারে করোনা ছড়িয়েছে। এখানে কন্টেনমেন্ট জোনে প্রয়োজন মনে হলে রাস্তা আটকে দেওয়া হতে পারে। মানুষ যাতে সব সুযোগ সুবিধা পায়, তা দেখার দায়িত্ব প্রশাসনের।
কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোনের মধ্যে রয়েছে ভবানীপুর, উল্টোডাঙা, বেলেঘাটা, ফুলবাগান, আলিপুর, হিডকো, কাকুরগাছি, বিজয়গড়, যাদবপুর, নিউ আলিপুর, কসবা, মুকুন্দপুর, অজয়নগর৷ ইতিমধ্যে কলকাতায় বেশ কয়েকটি এলাকায় লকডাউনের বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। সিল করে দেওয়া হয়েছে বহুতল। বিভিন্ন রাস্তায় নতুন করে ব্যারিকেডও বসেছে। কড়া লকডাউন জারির জন্য কলকাতার পুলিশের কর্তাদের সঙ্গে এদিন জরুরি বৈঠক করেন পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম।
Be the first to comment