এই অতিমারী পরিস্থিতি আরও একবার দেখিয়ে দিল ভারতের ফার্মা ক্ষেত্র শুধু দেশের নয়, গোটা দুনিয়ার কাছেই অ্যাসেটঃ নরেন্দ্র মোদী

Spread the love

করোনাভাইরাস ও তার জেরে দেশব্যাপী লকডাউনের ধাক্কায় মুখ থুবড়ে পড়েছে অর্থনীতি। তবে করোনার জেরে এই আর্থিক পতনের শিকার গোটা বিশ্বই। তবে ভারত ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছে বলে দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

ভারতে বিনিয়োগের জন্য বিশ্বকে আমন্ত্রণ জানালেন প্রধানমন্ত্রী। ইন্ডিয়া গ্লোবাল উইক-২০২০ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন তিনি। ভারতের গ্লোবালাইজেশনের ওপর সবচেয়ে বড় আন্তর্জাতিক ইভেন্টগুলির অন্যতম এই ইন্ডিয়া গ্লোবাল উইক। মোট ৩০টি দেশের ৫০০০ জন প্রতিনিধি যোগ দিয়েছেন এই সম্মেলনে। করোনা আবহে পুরোপুরি ভার্চুয়াল মাধ্যমেই হচ্ছে সম্মেলনটি।

করোনাভাইরাসের কারণে থমকে গিয়েছে প্রায় গোটা বিশ্বই। এই কঠিন সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্যই তিন দিনের এই ভার্চুয়াল ইভেন্টের থিম রাখা হয়েছে, “বি রিভাইভাল: ইন্ডিয়া অ্যান্ড বেটার নিউ ওয়ার্ল্ড”। সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও বক্তব্য রাখবেন প্রায় ২৫০ জন বক্তা। তাঁরা ভূ-রাজনীতি, ব্যবসা, প্রযুক্তি, ব্যাঙ্কিং ও ফাইনান্স, ফার্মা, প্রতিরক্ষা ও সুরক্ষা এবং চারুকলা ও সংস্কৃতি-সহ বিভিন্ন বিষয়ে নিজেদের মতামত জানাবেন।

এই ইভেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সারা বিশ্বের কোম্পানিগুলোর জন্য আমরা রেড কার্পেট বিছিয়ে দিচ্ছি। আপনারা আসুন এবং ভারতে আপনাদের উপস্থিতি গড়ে তুলুন। আজ ভারত আপনাদের যে প্রস্তাব দিচ্ছে, তা খুব কম দেশই দিতে পারবে।’ এই সপ্তাহের শুরুতেই বিশ্বব্যাংক জানিয়েছিল যে বিশ্ব অর্থনীতি এই বছর ৫.২ শতাংশ সংকোচিত হবে। ১৯৩০ সালের গ্রেট ডিপ্রেশনের পর এত বড় আর্থিক মন্দা আর দেখা যায়নি।

করোনা পরিস্থিতির মধ্যেই এগিয়ে নিয়ে যেতে হচ্ছে দেশের দ্বিপাক্ষিক ও বাণিজ্যিক কার্যকলাপ। আর সেই লক্ষ্যেই ব্রিটেনে আয়োজন করা হয়েছে ইন্ডিয়া গ্লোবাল উইক ২০২০। ভারত-ব্রিটেন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত করার পাশাপাশি এই সম্মেলনে ভারতের মূল লক্ষ্য হল বৈদেশিক বাণিজ্য-বৃদ্ধি।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনিয়োগের সুযোগ আছে। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা যেতে পারে। মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রেও এখন বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ অনেক বেড়েছে। এর ফলে মহাকাশ প্রযুক্তি ব্যবহারের উপকার আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়তে পারবে।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এই অতিমারী পরিস্থিতি আরও একবার দেখিয়ে দিল যে ভারতের ফার্মা ক্ষেত্র শুধু দেশের নয়, গোটা দুনিয়ার কাছেই অ্যাসেট। উন্নয়নশীল দেশে ওষুধের দাম সাধারণ মানুষের আয়ত্তের মধ্যে রাখার লক্ষ্যে দেশের ভারতের ফার্মা ক্ষেত্র উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*