কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমলেও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে কড়া লকডাউন শুরু হল হাওড়াতেও। হাওড়া পুর এলাকায় কণ্টেনমেণ্ট জোনের সংখ্যা ৩৬ থেকে কমে হয়েছে ১৭। সংক্রমণ বাড়লেও কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা কমেছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা থেকে শহরের ওই ১৭টি এলাকা কার্যত পুরো সিল করে দেওয়া হবে। ওইসব এলাকায় হবে কড়া লকডাউন। কন্টেনমেন্ট জোন সংলগ্ন বাফার জোনকে এখন কন্টেনমেন্টের আওতায় আনা হয়েছে। শহরের রাস্তায় বাস, অটো বা গাড়ি চলাচলে তেমন কোনও বাধা হবে না। গাড়ি চলাচলের ক্ষেত্রে কণ্টেনমেণ্ট জোনের পরিবর্তে অন্য এলাকা দিয়ে যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়া হবে।
তবে ওই কণ্টেনমেণ্ট জোনগুলিতে কোনওরকম যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হচ্ছে। এর আগে হাওড়া জেলা প্রশাসনের তরফে গত ২৪ মে সর্বশেষ কণ্টেনমেণ্ট জোনের যে তালিকা বের করা হয়েছিল তাতে হাওড়া শহরের ৩৬টি এলাকা কণ্টেনমেণ্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
এবারের তালিকায় সেই সংখ্যা প্রায় ৫০ শতাংশের উপর কমে ১৭ হয়েছে। লকডাউনে কীভাবে হাওড়ার কণ্টেনমেণ্ট জোনগুলিতে লকডাউন কার্যকর করা হবে সেই ব্যাপারে পুলিশ কমিশনারেটের কর্তাদের সঙ্গে গতকাল বুধবারই কথা বলেন ডিজি বীরেন্দ্র। তিনি শিবপুর পুলিশ লাইনে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন। সেখান থেকেই লকডাউনের সমস্ত নিয়মবিধি মেনে চলার জন্য মানুষকে আবেদন করেন তিনি।
তিনি বলেন, হাওড়ায় লকডাউন ভালোভাবে এর আগে নিয়ন্ত্রণ করা গেছে। আগামী দিনেও তা আরও ভালোভাবে আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব। এই সময় অপ্রয়োজনে কাউকে বাড়ির বাইরে বেরোতেও আবেদন জানান তিনি।
এদিকে এদিন জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, করোনা পরিস্থিতির প্রথম দিকে যেভাবে জেলায় কড়া লকডাউন করা হয়েছিল, সেভাবেই আজ থেকে কন্টেনমেন্ট জোনগুলিতে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। ওই এলাকাগুলিতে আজ বিকেল ৫টা থেকে কঠোরভাবে লকডাউন কার্যকর করা শুরু হচ্ছে। এরজন্য পুলিশ, স্বাস্থ্য দফতর ও জেলা প্রশাসনের তরফে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এর আগের লকডাউন চলাকালীন শহরের বিভিন্ন এলাকায় পুরসভার তরফ থেকে নিত্যপ্রয়োজনীয় অত্যাবশকীয় সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বাসিন্দাদের দেওয়া হয়েছিল স্থানীয় মুদির দোকান ও ওষুধের দোকানের ফোন নম্বর। সেই পদ্ধতি এবারও হতে চলেছে বলে জানা গিয়েছে।
Be the first to comment