উপমুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের বিদ্রোহে রাজস্থান কংগ্রেসে যখন টালমাটাল চলছে, তখনই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের দুই ঘনিষ্ঠ সহকর্মীর বাড়িতে হানা দিল আয়কর দফতর।
মাঝরাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস জানিয়েছিল, সরকার নিরাপদ। সরকার পড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সোমবার সকালে রাজস্থান কংগ্রেসের সহ-সভাপতি রাজীব অরোরা এবং ধর্মেন্দ্র রাঠোরের বাড়ি-সহ বিভিন্ন জায়গায় রেইড চালানো হল। কর ফাঁকির অভিযোগে অভিযুক্ত এই দুই নেতার সঙ্গে জড়িত জয়পুর ও কোটার পাঁচটি অবস্থানে রেইড চালানো হয়েছে বলে জানালেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
রবিবার গভীর রাতে একটি বিবৃতি জারি করে সচিন পাইলট দাবি করেছিলেন, গেহলট সরকার সংখ্যালঘু। ৩০ জন বিধায়কের সমর্থনই রয়েছে তাঁর পক্ষে। তার কয়েক ঘণ্টা পরই রাত ২.৩০টে নাগাদ সাংবাদিক সম্মেলন করে কংগ্রেস। সেখানে দাবি করা হয়, ‘মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের প্রতি আস্থা রেখে একটি চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ১০৯ জন বিধায়ক।’
সচিন বিজেপিতে যোগ দেবেন বলে জল্পনা শুরু হলেও সোমবার তিনি নিজেই জানিয়েছেন, তিনি এমন কিছু করছেন না। মনে করা হচ্ছিল, এ দিনই বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করতে পারেন সচিন। তবে সেই জল্পনা উড়িয়ে রাজস্থানের উপমুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, তিনি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন না।
তবে তিনি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট দলের বিধায়কদের নিয়ে যে বৈঠক ডেকেছেন, সেখানে যোগ না-দেওয়ার ব্যাপারে অনড় রয়েছেন।
জয়পুরে তাঁর প্রতি সমর্থনের শক্তিপরীক্ষা করতেই বৈঠক ডেকেছেন গেহলট। সে জন্য দলীয় হুইপও জারি করা হয়েছে। বাধ্যতামূলকভাবে সব বিধায়ককে বৈঠকে উপস্থিত থাকতে বলেছেন রাজস্থানে কংগ্রেসের ইন-চার্জ অবিনাশ পাণ্ডে। কোনও কারণ ছাড়াই বৈঠকে উপস্থিত না হলে, কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। তবে শনিবার থেকেই দিল্লিতে সচিন। এখনও তিনি সেখানেই রয়েছেন। মরুরাজ্যের রাজনৈতিক সংকট কাটাতে কংগ্রেসের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা এবং শীর্ষ নেতা অজয় মাকেনকে রাজস্থানে পাঠিয়েছে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড।
Be the first to comment