বিজেপি বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ, পকেট থেকে মিলল সুইসাইড নোট

Spread the love

সাত সকালেই উদ্ধার হয়েছে বিজেপি নেতার ঝুলন্ত দেহ। হেমতাবাদারে বিধায়কের মৃত্যু ঘিরে বাড়ছে রহস্য। এবার সেই বিজেপি নেতার পকেট থেকে উদ্ধার হল সুইসাইড নোট। রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে এমনটা জানানো হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সুইসাইড নোটে লেখা আছে দু’জনের নাম। মৃত্যুর জন্য ওই দু’জনকে দায়ী করা হয়েছে। তবে রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, সবরকমের তদন্ত চলছে। তদন্তের ফলাফল না আসা পর্যন্ত কেউ যেন অনুমানের উপর ভিত্তি না করে।

সোমবার সকালে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে একটি দোকানের বারান্দা থেকে উদ্ধার হয়েছে হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়ের মৃতদেহ। খুনের পর মৃতদেহ ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ পরিবারের। সিপিএম ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দেবেন্দ্রনাথ রায়।

জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে তাঁকে বাড়িতে ফোন করে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর থেকে আর বাড়ি ফেরেননি ওই বিধায়ক। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে একটি বন্ধ দোকানের বারান্দা থেকে উদ্ধার হয় বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ।

রায়গঞ্জের সুদর্শনপুরের বাসিন্দা তিনি। রবিবার সন্ধেয় বিন্দোলের বালিয়ার আদি বাড়িতে ফিরেছিলেন। পরিবারের দাবি, রাত একটা নাগাদ বেশ কয়েকজন যুবক তাঁকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর রাতভর তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। শেষমেশ সোমবার সকালে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

বিজেপি নেতা রাহুল সিনহা এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘হেমতাবাদের বিজেপি বিধায়ককে খুন করার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছি। এই ঘটনার পিছনে তৃণমূল রয়েছে। খুনকে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীকে আবেদন, সিবিআইকে দিয়ে ঘটনার তদন্ত করানোর জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ করুন।’

এদিকে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই এই খুনের ঘটনায় দায়ী করেছেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়।টুইটে এদিন তিনি লেখেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বিজেপি বিধায়ককে খুন করেছে। বিধায়কের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। এই ঘটনা প্রমাণ করল যে বাংলায় গণতন্ত্র নেই। এটা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুন্ডাবাহিনী এই কাজ করেছে।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*