বাংলায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যার সব রেকর্ড ভেঙে দিলো ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১,৯০০ জন ৷ এটাই রাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা ৷ প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷
শুক্রবার রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮৯৪ জন ৷ বৃহস্পতিবার এই সংখ্যাটা ছিল ১,৬৯০ জন ৷ ফলে এই পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৩৮,০১১ জন ৷
বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার সকাল ৯ টা পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ২৬ জনের ৷ এই পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০৪৯ জন কিন্তু অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটাও ১৪ হাজার ছাড়ালো অর্থাৎ এই মূহূর্তে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা ১৪,৭০৯ জন ৷
গতকাল সংখ্যাটা ছিল ১৩,৬৭৯ জনে৷ একদিনে বেড়েছে ১০৪৯ জন৷ এই সংখ্যাটা এখন প্রতিদিনই বাড়ছে৷ কমছে সুস্থ হয়ে উঠার হার৷ যদিও একদিনে ৮৩৮ জন সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন৷ গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ৭৩৫ জনে৷ তবে এই পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২২,২৫৩ জন৷ শতাংশ এর হিসেবে ৫৮.৫৪ শতাংশ৷ গতকাল ছিল ৫৯.২৯ শতাংশে ৷
যে ২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, এদের মধ্যে কলকাতারই ১২ জন ৷ উত্তর ২৪ পরগনার ৭ জন। হাওড়া ৩ জন ৷ হুগলী ১ জন ৷ পূর্ব মেদিনীপুর ১ জন ৷ নদিয়ার ১ জন ৷ দক্ষিণ দিনাজপুর ১ জন৷ গতকাল বৃহস্পতিবার মৃতের সংখ্যাটা ছিল ২৩ জনে৷ তাদের মধ্যে কলকাতারই ১২ জন৷ উত্তর ২৪ পরগনার ৭ জন৷ হাওড়া ১ জন৷ হুগলী ২ জন৷ দার্জিলিং এর ১ জন ছিল৷ বাংলায় নতুন করে টেস্ট হয়েছে ১৩,২৪০টি ৷
এতদিনে এটাই একদিনে সর্বোচ্চ টেস্ট৷ তবেএই পর্যন্ত মোট টেস্ট হয়েছে ৬ লক্ষ ৭৬ হাজার ৩৪৮ জনের৷ প্রতি মিলিয়নে টেস্ট ৭,৫১৫ জন৷ এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ৫৪টি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে৷ আরও ৩টি ল্যাবরেটরি অপেক্ষায় রয়েছে৷ বাংলায় ৮১ টি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা তৈরি করা হয়েছে৷
এর মধ্যে সরকারি ২৭ টি হাসপাতাল ও ৫৪ টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে৷ হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৯৪৮টি, ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে ৩৯৫টি৷ কিন্তু সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে ৫৮২টি৷ এই পর্যন্ত শুধু কলকাতায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫৪৯ জন৷
গতকাল ছিল ৫৩৭ জনে৷ মোট আক্রান্ত ১২,০৩৪ জন৷ গতকাল ছিল ১১,৪৭১ জনে৷ গত ২৪ ঘন্টায় শহরে আক্রান্ত ৫৬৩ জন৷ এতদিনে একদিনে এটাই শহরের সর্বোচ্চ আক্রান্ত৷ গতকাল ছিল ৪৯৬ জন৷ নতুন করে ছাড়া পেয়েছেন ২৯১ জন৷ ফলে কলকাতায় মোট ছাড়া পেলেন ৬৭১৩ জন৷ অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৭৭২ জন৷
Be the first to comment