মোবাইল ম্যানিয়া কাটাতেই সেরার সেরা স্রোতশ্রী

Spread the love

বেহালা শীলপাড়ার বাসিন্দা স্রোতশ্রী রায়। শেখাওয়াত মেমোরিয়াল গভর্নমেন্ট গার্লস-এর ছাত্রী। তবে মোবাইলের সঙ্গে ১২ ঘণ্টাও কেটে যেত কখনও কখনও। আর সেই কারনেই টেস্ট পরীক্ষার ফল যথারীতি খারাপ। বুঝতে পেরে মোবাইলকে জীবন থেকে আলাদা করতেই একেবারে সেরার সেরা স্রোতশ্রী। উচ্চমাধ্যমিকে পাঁচশোর মধ্যে ৪৯৯ নম্বর পেয়েছে সে।

তার এই মোবাইলের প্রতি আসক্তির কথা নিজেই জানালেন স্রোতশ্রী। কী ভাবে পড়াশোনার মাঝে মোবাইল প্রতিবন্ধক হয়ে উঠেছিল, সেই অভিজ্ঞতাও শেয়ার করলেন। বাবা-মা দু’জনেই শিক্ষক। স্রোতশ্রীর ইচ্ছা কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করার।ফল জানার পর স্রোতশ্রী বলে, মোবাইলের জন্য আমার টেস্টের ফল ভাল হয়নি। তার পর মোবাইল থেকে দূরেই থাকতাম। ভালো লাগছে, আমি ৪৯৯ পেয়েছি পাঁচশোর মধ্যে। সব ক’টা পরীক্ষা দিতে পারলে আরও ভাল লাগত।

মাধ্যমিকে জেলার জয়জয়কার হলেও উচ্চ মাধ্যমিকে কলকাতার ছাত্রছাত্রীরা এবার ভাল ফল করেছে। এবছর শেষ তিনটি পরীক্ষা না হওয়ায় মেধাতালিকা প্রকাশ হয়নি। স্রোতশ্রী ছাড়াও আরও তিন জন পেয়েছে ৪৯৯ নম্বর। তার মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়ার বড়জোরা হাইস্কুলের গৌরব মণ্ডল। বাঁকুড়ার কেন্দুয়াডিহি হাইস্কুলের অর্পণ মণ্ডল এবং হুগলি কলেজিয়েট স্কুলের ঐকিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়। 

ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে গৌরব মণ্ডলের। বাবা প্রাক্তন সেনাকর্মী। ছেলের সাফল্যের খবর শুনে উচ্ছ্বসিত তার মা শিপ্রা দেবীও। ক্রিকেট খেলতে খুব ভালবাসে গৌরব। গৌরব জানায়, আমি ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছি। মন দিয়ে আগামী দিনে পড়তে চাই।

৪৯৮ নম্বর পেয়েছেন কলকাতার আর এক গৌরব। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরে হলেও, বাবা কর্মসূত্রে কলকাতায় থাকেন। তাই এখানে থেকেই পড়াশোনা তাঁর। যোধপুর পার্ক বয়েজ হাইস্কুলের ছাত্র গৌরব মাইতি সর্বভারতীয় ইঞ্জিনিয়ারিং পরীক্ষায় ভাল ফল করলেও তারও ইচ্ছা ডাক্তার হওয়ার।

নব নালন্দার ছাত্র সৈকত দাস পেয়েছে ৪৯৭ নম্বর। বেহালার আদর্শপল্লির বাসিন্দা সে। এমবিবিএস পাশ করার পর স্ট্যাটিসস্টিক্স নিয়ে পড়তে চায় সে। সৈকতের কথায়, এই নম্বর পেয়ে আমার ভাল লাগছে। শেষ দুটো পরীক্ষা দেওয়া হল না। আগামী দিনে স্ট্যাটিসস্টিক্স নিয়ে পড়তে চাই।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*