বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং ও তাঁর ছেলেকে এনকাউন্টার করলে পরিণাম মারাত্মক হবে। টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এই হুঁশিয়ারি দিলেন এই রাজ্যের বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
শুক্রবার টুইটারে বিজয়বর্গীয় লিখেছেন, ”আজ ফের অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। বাড়ি এমনভাবে ঘিরেছে যে মনে হচ্ছে আজই সাংসদ অর্জুন সিং ও তাঁর বিধায়ক-পুত্র পবন সিংকে এনকাউন্টার করতে চায়।”
এরপর মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি টুইটে লিখেছেন, ”মমতাজি, যদি এরকম কোনও ঘটনা ঘটে, তাহলে তার পরিণতি মারাত্মক হবে।”
আজ শুক্রবার হঠাৎ করেই সমবায়-দুর্নীতি মামলায় বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশের একটি দল। সার্চ ওয়ারেন্ট না থাকায় পুলিশকে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। জানা যায়, সেই সময় অর্জুন সিং বাড়িয়ে ছিলেন না। পুলিশকে আটকায় তাঁর ছেলে পবন। ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যেই অভিযান পুলিশের, অভিযোগ অর্জুনের। আইন আইনের পথে চলছে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
প্রসঙ্গত, বুধবার কাঁকিনাড়ার আর্য সমাজ মোড়ে তৃণমূলের এক যুব নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় অজ্ঞাত পরিচয় জনা কয়েক দুষ্কৃতী। যুব নেতা ধর্মেন্দ্র সিংয়ের মাথার পিছনে গুলি লাগে। তিনি আপাতত বাইপাসের এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই ধর্মেন্দ্র মূলত অর্জুনের অনুগামী ছিলেন। তাঁর হাত ধরে বিজেপিতে যোগও দিয়েছিলেন।
কিন্তু তাঁর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ায় ধর্মেন্দ্র তৃণমূলে ফিরে আসেন। তারপর থেকেই গেরুয়া শিবিরের রোষানলে পড়েন ধর্মেন্দ্র। তৃণমূলের অভিযোগ, ধর্মেন্দ্রকে খুন করার চেষ্টা করছেন অর্জুন সিং। তবে গেরুয়া শিবির সেই অভিযোগ নস্যাৎ করেছিল।
তাদের পালটা দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন ওই নেতা। রাজনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝে পুলিশ অর্জুনের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করে। তারপর থেকে দলীয় সাংসদের পাশে দাঁড়িয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্য বিজেপি নেতারা।
এদিন কৈলাশ বিজয়বর্গীয় সরাসরি হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের শাসক দলকে। উল্লেখ্য, বিকাশ দুবের এনকাউন্টারের সমালোচনা করে তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “দিলীপ ঘোষরা তো গণতন্ত্র বিশ্বাস করেন না। ওরা প্রথমে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগ করে। তারপর ক্ষমতায় এলে করে এনকাউন্টার।
Be the first to comment