যদিও সারা দেশ করোনা প্যানডেমিকের কবলে, তবুও আগামী ২১ জুলাই থেকে শুরু হতে চলেছে বার্ষিক অমরনাথ যাত্রা। তবে তার আগেই চাঞ্চল্যকর খবর জানাল জম্মু-কাশ্মীরের নিরাপত্তা বাহিনী। শুক্রবার এক সেনা আধিকারিক জানিয়েছেন, কিছু জঙ্গি অমরনাথ যাত্রা লক্ষ্য করে হামলা চালানোর ছক কষেছিল।
কিন্তু তিনি আশ্বস্ত করে বলেছেন, কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় এই বার্ষিক তীর্থযাত্রায় তার সম্পূর্ণ খেয়াল রাখা হবে। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই সেনার সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছে তিন জঙ্গি। তাদের মধ্যে একজন আমার জৈশ-এ-মহম্মদের কমান্ডার ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।
দক্ষিণ কাশ্মীরে আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে ব্রিগেডিয়ার বিবেক সিং ঠাকুর জানিয়েছেন, ‘আমাদের কাছে খবর আছে, যাত্রা নষ্ট করার জন্যে সব রকম চেষ্টা চালাবে জঙ্গিরা। কিন্তু আমাদের কাছেও এর জবাব ফিরিয়ে দেওয়ার মত পরিকাঠামো এবং সেনাবল রয়েছে। অমরনাথ যাত্রা যাতে শান্তিতে এবং নিরাপদে সম্পন্ন হয় তা সুনিশ্চিত করব। যাত্রায় কোনও বাধা আসতে দেওয়া হবে না। ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও ফাঁক থাকবে না।’
ব্রিগেডিয়ার বিবেক সিং ঠাকুর এও জানান, অমরনাথ যাত্রীরা যে ৪৪ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে সফর করেন তা স্পর্ষকাতর অঞ্চল। ‘এই অ্যাক্সিস সামান্য স্পর্শকাতর। অমরনাথ যাত্রীরা গান্দেরবালের সোনামার্গ থেকে বালতালের রাস্তা নেবেন। অমরনাথ গুহায় পৌঁছানোর এটিই একমাত্র রাস্তা।’
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার কুপওয়ারার কেরান সেক্টরে লাইন অফ কন্ট্রোলে ( Line of Control) কয়েক জনের গতিবিধি সন্দেহজনক ঠেকছিল সেনা বাহিনীর। সেনার নজরদারি এড়িয়ে কেরান সেক্টর দিয়ে কাশ্মীরে ঢোকার চেষ্টায় ছিল তারা। কিন্তু, সীমান্তে সতর্ক সেনা জওয়ানরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা ভেস্তে দেয়। সংঘর্ষে এক জঙ্গি নিহত হয়েছে। বাকিরা পালিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি একে-৪৭ রাইফেল উদ্ধার হয়েছে।
দীর্ঘ লকডাউনের পর গত ৫ জুলাই খুলেছে দক্ষিণ কাশ্মীরের অমরনাথ। হিমালয়ের কোল থেকে প্রথমবার লাইভ স্ট্রিমিং-এর মাধ্যমে বিগ্রহ দর্শন করেন ভক্তরা। দেখেন আরতি। করোনাভাইরাসের কারণে চলতি বছর কড়া নজরদারির মধ্যে দিয়ে শুরু হয়েছে অমরনাথ দর্শন।
রবিবার ভক্তদের জন্য বিশেষ আয়োজন করে অমরনাথ বোর্ড। সরকারি চ্যানেল দূরদর্শন ভারতীতে সকাল ৮টা থেকে ১০টা এবং দূরদর্শন ন্যাশনালে বিকেল ৫.৩০ থেকে ৬টা পর্যন্ত লাইভ স্ট্রিমিং হয়। রবিবার সকালে অমরনাথে প্রথম আরতি সম্পাদন করেন জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্য়ান্ট গভর্নর জিসি মুর্মু।
Be the first to comment