অস্বাভাবিক বিদ্যুতের বিল আসায় নাভিশ্বাস উছেঠে আমজনতার। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন CESC কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বিলের কোপ থেকে বাদ জাননি খোদ বিদ্যুৎ মন্ত্রীও। তিন-চার হাজারের বিল পৌঁছেছে ১২ হাজারে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে CESC কর্তাদের তলব করেন বিদ্যুৎ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। CESC যাতে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে পুরো বিষয়টি অবগত করে তার নির্দেশও দেন তিনি।
সেইমতো আজ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে পুরো বিষয়টি স্পষ্ট করার কথা CESC-এর। তারই মধ্যে সোশাল মিডিয়ায় পুরো বিষয়টি পোস্ট করে গ্রাহকদের উদ্দেশে বার্তা দিলেন CESC-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।
লকডাউনে বাড়িতে ছিলেন প্রায় সকলেই। মিটার চেক করতে আসেননি CESC-এর আধিকারিকরা। তবুও অনলাইনে বা ফোনের এস এম এসে ঢুকে গেছে মোটা অঙ্কের বিল। অনেকেই ভেবেছিলেন হয়তো গত বছরের বিলের সঙ্গে তুলনা করে প্রতি মাসের গড় করে ঠিক করা হয়েছে বিলের অঙ্ক। কিন্তু দেখা যায়, বিষয়টা আদতেও তা নয়। এক হাজার-দু’হাজারের পরিবর্তে ১০ হাজার, ১২ হাজার টাকাও বিল এসেছে অনেকের। যা নিয়ে গত মাস থেকেই একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। ফেসবুকে বিলের ছবি দিয়ে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে গ্রাহকরা।
এই পরিস্থিতিতেই CESC-র টুইটার থেকে গ্রাহকে উদ্দেশে বার্তা দেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “আমরা আপনাদের থেকে বেশি টাকা নিচ্ছি না। লকডাউনে আমরা আপনাদের কাছ থেকে যতটা সম্ভব কম টাকা নিয়েছি। এই মাসে আপনাদের ব্যবহার করা অংশ ও আগের কয়েক মাসে বাকি থাকা টাকা যোগ করে একটি বিল করা হয়েছে।
এবার সুবিধার জন্য আমরা কিস্তিতে বিল দেওয়ার সুবিধে দিচ্ছি। চলতি মাসে ৫০ শতাংশ ও আগামী আরও দু’মাসে ২৫ শতাংশ করে দেওয়া যাবে। আপনাদের বিলে তা স্পষ্ট করে দেওয়া হবে।
Be the first to comment