বাংলায় একদিনে আক্রান্ত প্রায় আড়াই হাজার৷ গত ২৪ ঘন্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের৷ একদিনের হিসেবে মৃতের সংখ্যা কমলেও, বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা৷ টেস্ট বাড়াতেই বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা ৷ এমনটাই দাবি, রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের ৷ বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে ১৪ হাজার ৫৫৮টি টেস্ট হয়েছে ৷
এছাড়া বাংলা একদিনে সুস্থ হয়ে উঠার সর্বোচ্চ রেকর্ড করে ফেলল ৷ গত ২৪ ঘন্টায় সুস্থ হয়ে উঠার সংখ্যাটা ২০০০ ছাড়াল ৷ বৃহস্পতিবার রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২ হাজার ৪৩৬ জন৷ গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ২ হাজার ২৯১ জনে ৷ কিন্তু এই পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৫১ হাজার ৭৫৭ জন ৷ তবে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ১৮ হাজার ৮৪৬ জন ৷
একদিনে বেড়েছে ৩৯৬ জন৷ বাংলায় একদিনে বাড়ল সুস্থ হয়ে উঠার হার ৷ একদিনে রাজ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ৬ জন ৷ গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ৬১৫ জন ৷ এই পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৩১ হাজার ৬৫৬ জন৷ সুস্থ হয়ে উঠার হার বেড়ে হয়েছে ৬১.১৬ শতাংশ ৷ গতকাল ছিল ৬০.১১ শতাংশ৷ গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জন৷ গতকাল সংখ্যাটা ছিল ৩৯ জন ৷
এই পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১ হাজার ২৫৫ জন ৷ গতকাল মোট সংখ্যাটা ছিল ১ হাজার ২২১ জনে৷ যে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, এদের মধ্যে কলকাতারই ১৯ জন৷ উত্তর ২৪ পরগনার ৬ জন৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ২ জন৷ হাওড়া ৩ জন৷ হুগলির ১ জন ৷ পশ্চিম মেদিনীপুর ১ জন ৷ পূর্ব বর্ধমান ১ জন ৷ বীরভূম ১ জন ৷
বুধবার মৃতের সংখ্যাটা ছিল ৩৯ জন ৷ তাদের মধ্যে কলকাতার ছিল ১৫ জন ৷ উত্তর ২৪ পরগনার ১১ জন ৷ দক্ষিণ ২৪ পরগনার ৩ জন৷ হাওড়া ২ জন ৷ হুগলির ৩ জন ৷ পশ্চিম বর্ধমানের ১ জন ৷ পূর্ব মেদিনীপুর ১ জন ৷ দক্ষিণ দিনাজপুর ১ জন৷ উত্তর দিনাজপুর ১ জন৷ দার্জিলিং ১ জন ৷
বাংলায় একদিনে টেস্ট বাড়ানো হল ৷ বৃহস্পতিবারের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় ১৪ হাজার ৫৫৮ টি টেস্ট করা হয়েছে ৷ এটাই একদিনে বাংলায় সর্বোচ্চ টেস্ট৷ গতকাল ছিল ১৪ হাজার ৪০ টি টেস্ট ৷ এই পর্যন্ত মোট টেস্ট হয়েছে ৭ লক্ষ ৫৮ হাজার ২৭ জনের৷ প্রতি মিলিয়নে টেস্ট ৮,৪২৩ জন ৷
এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ৫৬টি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে ৷ আরও ৩ টি ল্যাবরেটরি অপেক্ষায় রয়েছে ৷ বাংলায় ৮১ টি সরকারি এবং বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যা তৈরি করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে সরকারি ২৭ টি হাসপাতাল ও ৫৪ টি বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে৷ হাসপাতালগুলিতে আইসিইউ শয্যা রয়েছে ৯৪৮টি, ভেন্টিলেশন সুবিধা রয়েছে ৩৯৫টি ৷
কিন্তু সরকারি কোয়ারেন্টাইন সেন্টার রয়েছে ৫৮২টি ৷ এই পর্যন্ত শহরে মৃত্যু ৬৪২ জনের। গত ২৪ ঘন্টায় শহরে মৃত্যু হয়েছে ১৯ জনের ৷ একদিনে শহরে আক্রান্ত ৭৯৫ জন। এই পর্যন্ত মোট আক্রান্ত ১৬ হাজার ১২৭ জন ৷ নতুন করে ছাড়া পেয়েছেন ৫৫৫ জন ৷ ফলে কলকাতায় মোট ছাড়া পেলেন ৯ হাজার ৫৭৭ জন ৷ শহরে অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যা ৫,৯০৮ জন ৷
Be the first to comment