পঞ্জাবে নিরাপত্তা বহিনীর মধ্যে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়েই চলেছে। শুক্রবারও পঞ্জাবে নতুন করে ৪৩ জন বিএসএফ জওয়ানের শরীরে করোনা ভাইরাস ধরা পড়েছে। এই নিয়ে পঞ্জাবে শুধুমাত্র বিএসএফ-এর অন্তত ২০০ জন কর্মী করোনায় আক্রান্ত হলেন।
এর মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পঞ্জাবের খারকান বিএসএফ ক্যাম্পের। ২০০ জন বিএসএফ কর্মীর মধ্যে শুধুমাত্র খারকান ক্যাম্পেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৯ জন। এছাড়া অমৃতসরের বিএসএফ ক্যাম্পে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ জন এবং রাজ্যের অন্যত্র থেকে আরও ১৫ জন বিএসএফ কর্মীর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে।
বিএসএফ ছাড়াও পঞ্জাবের সামগ্রিক করোনা চিত্র যথেষ্ট উদ্বেগের। সেই রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের বক্তব্য অনুযায়ী, সেখানে অন্তত ২৫৮ জন পুলিশকর্মীর করোনাভাইরাস ধরা পড়েছে। রেল সুরক্ষা বাহিনীর অন্তত ৬০ জন কর্মী এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের অন্তত ২৪ জন করোনায় আক্রান্ত। করোনা টেস্ট আরও বেশি করে হলে এই সংখ্যাটা যে আরও বাড়বে তা এক প্রকার নিশ্চিত।
তবে এই ঘটনায় বিএসএফ-এর তরফে কোনও গাফিলতি নেই বলে দাবি করা হয়েছে। প্রথম দিকে কড়া সুরক্ষাবিধি পালন করা হলেও লকডাউন শিথিল হতে একটু ঢিলেঢালা ভাব এসে গিয়েছিল বলে অবশ্য স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। এমনকি অনেকে মাস্কও পরতেন না। তারই ফল এখন বোঝা যাচ্ছে।
বিএসএফ-এর মধ্যে সামাজিক দূরত্ব পালন করা যে একটু কঠিন সে কথাও স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। কারণ ব্যারাকে একসঙ্গে অনেক জওয়ান থাকেন। বিএসএফ-এ আক আধিকারিক জানিয়েছেন, ‘একটি ব্যারাকে ১২০ জন জওয়ান থাকতে পারেন। তবে করোনা প্যানডেমিকের কারণে ব্যারাকের ভেতরে জায়গা ভাগ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল ডিসট্যান্স বজায় রাখতে ব্যারাকের পাশে টেন্ট খাটিয়েও অনেকের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’এর আগে লুধিয়ানার ৬০ জন আরপিএফ কর্মীর করোনাভাইরাস ধরা পড়ে।
Be the first to comment